ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণেও বন্ধুপ্রতিম দেশসমূহের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময়ই ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের যৌথ অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘অনুশীলন টাইগার লাইটনিং-৩’ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এ কথা বলেন। রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিংয়ে (বিপসট) অনুশীলনের আয়োজন করা হয়।
সেনাপ্রধান এ সময় বলেন, ‘অনুশীলন টাইগার লাইটনিং’ দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করতে সহায়ক হবে। এই অনুশীলন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি বিপসট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড ও অরেগন ন্যাশনাল গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, এই অনুশীলনের মূল লক্ষ্য ছিল বন্ধুপ্রতিম এ দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা ও সম্প্রীতি আরও সুদৃঢ় করা। অনুশীলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে অংশগ্রহণকারীদের পারদর্শী করে তুলতে বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অব মিশন হেলেন জি লাফেভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল মেজর জেনারেল রেজিনাল্ড জিএ নিল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে বিপসট কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান আগত অতিথি এবং অনুশীলনে অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইএসপিআর জানায়, অনুশীলন টাইগার লাইটনিং-৩ গত ৬ মার্চ শুরু হয়। সেনাসদর সামরিক প্রশিক্ষণ পরিদফতরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিপসট কর্তৃক এই অনুশীলনটি আয়োজন করা হয়। অনুশীলনে মার্কিন প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের ৩৪ জন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৮২ জন সেনা সদস্যসহ সর্বমোট ১১৬ জন অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ২০১৭ ও ২০২১ সালে টাইগার লাইটনিং ১ ও ২ যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো।