ডেস্ক নিউজ
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্য মিডিয়া সেল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওনাদের আমরা বলেছি, যে কিট উদ্ভাবন হয়েছে, সেটি আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্নভাবে ভ্যালিটেড করতে হবে। শতভাগ হোক, ৯৯ পারসেন্ট হোক আর ৮০ পারসেন্ট হোক, যে পার্সেন্টেজই হোক না কোনো সেটি একটা ট্রায়াল করতে হবে।
একশত অথবা ২’শত মানুষের মধ্যে দেখতে হবে যে কতজন পজেটিভকে করলে এটা পজেটিভ হয়। কতজনকে নেগেটিভ করলে এটা নেগেটিভ হয়। কোন দিক থেকে পজেটিভ হয় সেটিও দেখতে হবে এবং নির্ধারিত একটি প্রটোকল ডেভেলপ করতে হবে। প্রটোকল ডেভেলপ করে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল এবং আমাদের কমিটির মাধ্যমে এপ্রুভ করতে হবে। এপ্রুভ প্রটোকলের মধ্যে ওনারা পারফমেন্স ট্রায়াল করবেন। এরপর রিপোর্ট আসলে আমরা সেটি দেখবো।
তিনি বলেন, এটি মনে হচ্ছে অনেক লম্বা পরিক্রমা। অনেক জায়গায় যেতে হবে, সেটি কিন্তু না। আমরা অনলাইনেও বেশ কয়েকটি বিষয়ে অনুমোদন দিচ্ছি।
ঔষধ প্রশাসনকে গণস্বাস্থ্যের পাঠানো এক চিঠি পড়ে শুনান মাহবুবুর রহমান। চিঠিতে গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমাদের কোভিড-১৯ কিট নির্ণয়ে লক্ষ্যে বর্তমান অবস্থানে পৌছানোর জন্য সার্বিক সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। দেশের জনগণ এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আপনাদের সহযোগিতার কথা মনে রাখবে।
এ কথা উল্লেখ করে জেনারেল মাহবুব প্রশ্ন রাখেন, তাহলে কিভাবে মনে রাখছেন?
ডা. জাফরুল্লাহর নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, উনি বয়োজৈষ্ঠ মানুষ। আমারা ওনাকে সম্মান করি। ১৮ তারিখে ওনারা কাঁচামাল আনার অনুমোদন চেয়েছিলেন আমরা ১৯ তারিখে অনুমোদন দিয়েছি। বিভিন্ন সময়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঔষধ প্রশাসন, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়কে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। আমি অতি বিনয়ের সাথে বলতে চাই, দেশের এ দুর্যোগময় মুহূর্তে প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা দরকার। এখানে যদি অযাচিত ভাবে এবং ভুল তথ্য উপস্থাপন করে মানুষকে বা প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চালানো হয় সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এবং এটি আমি প্রত্যাখান করছি। আমি অনুরোধ করবো এ ধরণের অপপ্রচার যেনো না চালানো হয়।