ডেস্ক নিউজ
সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার জলঢুপ কমলাবাড়ি এলাকায় অবস্থিত একটি পরিত্যক্ত গ্যাস কূপ পুনঃখনন করে নতুন করে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে।
পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন কাজ উদ্বোধন শেষে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন ৫-৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে খননকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায় গ্যাস কূপ পুনঃখনন করে নতুন করে গ্যাস উত্তোলন শুরু। ছবি- সংগৃহীত
তিনি বলেন, পুনঃখনন কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। এরপরই উৎপাদনে যাওয়া যাবে।
একাধিকবার গ্যাস উত্তোলিত হয়ে বন্ধ থাকার পর নতুন করে গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুনঃখনন কাজ শুরু করেছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। এটি বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ।শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুনঃখনন কাজ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। একইসঙ্গে ওইদিন গোলাপগঞ্জের কৈলাশটিলা গ্যাস ফিল্ডের ৭ নম্বর কূপও গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুনঃখনন কাজ শুরু করা হয়। গ্যাস কূপগুলো পুনঃখনন কাজ উদ্বোধনকালে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সিলেটের বিয়ানীবাজার এলাকায় গ্যাস কূপ পুনঃখনন করে নতুন করে গ্যাস উত্তোলন শুরু। ছবি- সংগৃহীত
গ্যাস ফিল্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ থেকে সর্ব প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এরপর টানা প্রায় ২৩ বছর গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে চলমান থাকলেও ২০১৪ সালে এসে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৬ সালে ফের উত্তোলন শুরু হলেও ওই বছরের শেষদিকে পুনরায় সেই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই এই কূপটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) ওই কূপে অনুসন্ধান কাজ চালায়। অনুসন্ধানে কূপটিতে গ্যাস মজুদের বিষয়টি জানা যায়। তাই ওই কূপ পুনঃখনন করে পুনরায় গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিয়ানীবাজার গ্যাস ফিল্ডের ২ নম্বর কূপ থেকে প্রতিদিন ৭ থেকে সাড়ে ৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলিত হয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।