ডেস্ক নিউজ
আর মাত্র একদিন পরেই ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির দিন। এদিন বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয় নতুন সার্বভৌম দেশ বাংলাদেশের। যা বাঙ্গালি জাতিকে এনে দেয় আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। বিজয়ের দিনে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত বিজয়কে ৪৯তম বারের মতো বরণ করবে সমগ্র জাতি। সেই লক্ষে লাখো শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
বিজয় দিবস উপলক্ষে গত ১২ ডিসেম্বর থেকে স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির উপর নির্মিত স্মৃতিসৌধটির সৌন্দর্য বর্ধনে গত একমাস ধরে গণপূর্ত বিভাগের প্রায় একশ শ্রমিক কাজ করে এটিকে করেছেন পুরোপুরি প্রস্তুত। স্মৃতিসৌধের মিনারগুলো ঘষে মেজে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। শেষ মুহূর্তে সৌধের পাদদেশসহ পায়ে চলার রাস্তা রং-তুলির আঁচড়ে সাজানো হয়েছে। লাল-সবুজের সমারোহে নতুন সাজে সেজেছে ফুলের বাগানগুলো। ইতিমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী এ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম স্মৃতিসৌধের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আজ ১৫ই ডিসেম্বর স্মৃতিসৌধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্মৃতিসৌধ মিনারের সম্মুখ ভাগে হেরিংবন্ড ধরে নিচু জায়গাগুলোতে সবুজ ঘাসের মধ্যে শোভা পেয়েছে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনিসহ নানা রঙের ফুল গাছের চারা। যা প্রতিবারের মতো এবারও সৌধ এলাকাকে এনে দিয়েছে রঙিন ও বর্ণিল রূপ। এছাড়াও স্মৃতিসৌধের বাইরে ভেতরে আলোকসজ্জ্বার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নিরাপত্তার জন্য এবার স্মৃতিসৌধ এবার স্মৃতিসৌধ এলাকার ৩২টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কেও। সমানভাবে চলছে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী ও সংস্থার মহড়াও। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিতসহ বাড়ানো হয়েছে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি। সাভারের আমিনবাজার থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত কয়েকটি স্তরের নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
ঢাকার জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, ‘অন্যবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দু’পাশ ও ব্রিজসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি বসানো হয়েছে বাড়তি পুলিশ চেকপোস্ট।’
১৬ ডিসেম্বরের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিদেশি কূটনীতিকদের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।