ডেস্ক নিউজ
প্যারোল নয় বরং জামিনে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পক্ষে মতামত দিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বিএনপি নেতারা। মূলত প্যারোল ও মুক্তির যৌক্তিকতা নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করায় সমালোচিত হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ও খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।
বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল জামিনের বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করলে, খালেদা জিয়ার পরিবারের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় বিএনপির রাজনীতিতে। এসময় জামিনে থাকলে অনিশ্চয়তা বিরাজ করবে বরং প্যারোলে বিদেশে গেলে রাজনৈতিক হয়রানি-মুক্ত থেকে নিশ্চিন্তে চিকিৎসা চালাতে পারবেন, এমন দু-ধরণের ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার বলেন, প্যারোলে মুক্তি নিলেই বরং বেগম জিয়া লাভবান হবেন। দেশে অসন্তুষ্ট হলে প্রয়োজনে বিদেশে গিয়ে চাহিদা মতো চিকিৎসা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে জামিন বাতিল সংক্রান্ত ভয়-ভীতি অথবা ভিন্ন মামলার রায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার আতংকে থাকতে হবে না আপাকে। এছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে যখন আমাদের দেখা হয়েছিলো, তিনিও চেয়েছেন প্যারোলে মুক্তি।
তিনি আরো বলেন, তারেক রহমানও ব্যক্তিগতভাবে প্যারোলের পক্ষেই মৌন সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। তার মন বুঝতে পেরেই আমি প্যারোলের বিষয়টি উত্থাপন করেছি। বিষয়টি না বুঝেই এখন হইচই করছেন বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতা। বিষয়টি দুঃখজনক।
এদিকে মির্জা ফখরুল প্যারোলে মুক্তির বিরোধিতা করে জানান, প্যারোল নয় বরং জামিনে মুক্তি দিতে হবে বেগম জিয়াকে।
এই প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, প্যারোল নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি চলছে। যেহেতু বেগম জিয়া অসুস্থ তাই আমরা উনাকে আইনি দুশ্চিন্তা মুক্ত বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে চাই। সেজন্য নির্ধারিত মেয়াদের জামিন চাই। অথচ আমাদের অনেক নেতা কোন এক প্রলোভনে পড়ে বেগম জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে দলীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে প্যারোলের কথা বলছেন। বিষয়টি হতাশাজনক।
তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি এবং বন্দিদশা নিয়ে যারা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অন্যকে খুশি করতে চাইছেন, তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিএনপিকে বিক্রি করে সুবিধা আদায়ের রাজনীতি অন্তত ত্যাগ করতে হবে। না হলে বিরোধী দলের আগে দলীয় বেইমানরাই বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন করে তুলবে।