ডেস্ক নিউজ
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়ে জেল খাটছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বয়সের কারণে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়ায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বেগম জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সব ধরণের সুচিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে জানা গেছে, বেগম জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক থাকলেও বিএনপি নেতৃবৃন্দ তার অসুস্থতা নিয়ে অপরাজনীতি করে বিশৃঙ্খলা ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। আইনি লড়াইয়ে বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন তার মিথ্যা অসুস্থতাকে ইস্যু বানিয়ে মুক্তি আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
বিভিন্ন তথ্যসূত্রের বরাতে জানা গেছে, বয়সের কারণে বেগম জিয়া দীর্ঘদিন যাবত আথ্রাইটিস, হাঁটু ও কোমরে ব্যথা, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছেন। তার এই অসুস্থতা নতুন কিছু নয়। হাঁটুর সমস্যার জন্য সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে দুবার অপারেশনও করিয়েছেন। এমনকি বেগম জিয়া যতবার ওমরাহ পালন করতে গেছেন প্রতিবারই হুইল চেয়ারে বসে তাকে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। এমনকি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার আগেও লন্ডনে তিনি একাধিকবার চিকিৎসাও নিয়েছেন। সুতরাং তার চিকিৎসা এবং শারীরিক সমস্যা নিয়ে বিএনপির তরফ থেকে বলা হচ্ছে তা কেবল রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, বেগম খালেদা জিয়ার হাসপাতালে আসার আগেই তার শরীরে নানাবিধ সমস্যা ছিল। তার শারীরিক অবস্থার কোন অবনতি হয়নি। বয়সের কারণে অনেক সময় তার ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ ওঠানামা করে। তবে বেগম জিয়া বেশিরভাগ সময় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকদের সহায়তা করেন না। নানা অজুহাতে তিনি চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাত করতে চান না। এরপরও চিকিৎসকরা তাকে সেবা দিতে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছেন। নিয়মিত তার চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। কোন ধরণের অসুবিধা মনে হলেই উপযুক্ত চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেগম জিয়ার অথ্রাইটিস এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্য দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন এবং নিয়মিত চিকিৎসা নিলেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছে। তবে বেগম জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি নেতারা যেসব তথ্য ছড়াচ্ছেন সেগুলো সত্য নয় বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একজন সম্মানিত নাগরিক হিসেবে এবং জেল কোড অনুযায়ী বেগম জিয়াকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।