ডেস্ক নিউজ
বে-টার্মিনালকে আন্তর্জাতিক মানের বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া ও সৌদি আরবসহ সাতটি দেশ। বে-টার্মিনাল হলে আগামী ৫০ বছরের জন্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের অর্থনীতি বা ব্যবসার জন্য একটা মাইলফলক হবে। ২০ হাজার কোটি টাকা বাজেটের বে-টার্মিনালটি চালু হবে ২০২৬ সালের মধ্যে। যেখানে কন্টেইনার রাখা যাবে ৫০ লাখেরও বেশি।
এ অবস্থায় তিনটি জেটির মধ্যে একটি চট্টগ্রাম বন্দর এবং বাকি দুটি গেøাবাল পার্টনারদের ছেড়ে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাগর তীরে গড়ে ওঠা এই বন্দরে সব ধরনের মাদার ভ্যাসেল ভিড়তে পারবে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা উপকূলে ৬৭ একর জায়গা অধিগ্রহণের পাশাপাশি সাগর থেকে বালু এনে ভরাট করা হচ্ছে আরো ৮০০ একর খাস জমি। এখানেই গড়ে উঠছে বহুল কঙ্ক্ষিত বে-টার্মিনাল। ইতোমধ্যে নতুন এ বন্দর নির্মাণে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, কোরিয়া, ভারত, সিঙ্গাপুর, ডিপি ওয়ার্ল্ড আছে। এছাড়া আরো অনেকেই আছে। তো এই রকম গ্লোবাল অপারেটর থেকে নির্বাচন করা হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর বছরে গড়ে ৩০ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করলেও ক্রমশ এ সংখ্যা বাড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে নানা জটিলতা। এ অবস্থায় আগামীতে বে-টার্মিনাল ছাড়া আর কোনো বিকল্প দেখছেন না বন্দর ব্যবহারকারীরা।
শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আবদুল্লাহ জহির বলেন, জেটির সংখ্যা যদি বাড়ানো না হয়, কোনো অবস্থাতেই চট্টগ্রাম বন্দরের এই সমস্যার সমাধান হবে না। এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক যানবাহন চলাচলের কারণে সীমাহীন যানজটে পড়তে হয় নগরবাসীকে। বে-টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ডেলিভারি পয়েন্ট হবে সেখানে। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম জানান, এই বে-টার্মিনাল হলে আগামী ৫০ বছরের জন্য চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের অর্থনীতি বা ব্যবসার জন্য একটা মাইলফলক হবে। ২০ হাজার কোটি টাকা বাজেটের বে-টার্মিনালটি চালু হবে ২০২৬ সালের মধ্যে। কন্টেইনার রাখা যাবে ৫০ লাখেরও বেশি।