ডেস্ক নিউজ
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত লর্ড করন বিলিমোরিয়া বলেছেন, বাংলাদেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার দ্বার সর্বদা অবারিত থাকবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এক বিশেষ বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বিজনেস, ফিন্যান্স ও ইকোনমিকস’ শীর্ষক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন।
এর আগে উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, শিক্ষক ও গবেষক বিনিময়, স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালুসহ বিভিন্ন যৌথ কার্যক্রম গ্রহণের ব্যাপারে তাঁরা একমত হন। এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের ব্যাপারেও আলোচনা হয়।
লর্ড করন বিলিমোরিয়া বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তাঁর বাবা ভারতের সাবেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফারিদুন বিলিমোরিয়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই যুদ্ধের কারণে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। বিশ্বে দারিদ্র্য বাড়ছে ও পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। খাদ্য সংকট তৈরির পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বৈশ্বিক অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের সম্মিলিত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশেষ বক্তৃতা দেওয়ার জন্য চ্যান্সেলরকে ধন্যবাদ জানান। লর্ড করন বিলিমোরিয়ার এই সফর বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে তাঁর বিশ্বাস।