নাটোরের বড়াইগ্রামে এক গৃহবধুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২ বছর যাবৎ ধর্ষণ ও পরে হত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে থানা পুলিশ মামলা নিতে অনাগ্রহতা প্রকাশ করছে বলে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব মাঝগাঁও গ্রামের জহুরুল হক মিয়াজির ছেলে জামাল হোসেন (৩৮) একজন সার ব্যবসায়ী। পাশ্ববর্তী বউবাজার এলাকার আব্দুল করিম গাজীর ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে ব্যবসা কার্য চালাতো। এক পর্যায়ে ঘরের মালিক করিম গাজীর সুন্দরী স্ত্রী নয়নতারার (৩০) প্রতি কুনজর পড়ে তার এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে জামাল হোসেন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নয়নতারাকে ঢাকায় নিয়ে যায় এবং জুরাইন এলাকায় বাসা ভাড়া করে একত্রে বসবাস করে। সেখানে ২ বছরের বেশি সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জামাল তাকে নিয়মিত ধর্ষণ করে। এসময় স্বামী করিম গাজীকে তালাক দিতে বললে জামালের কথায় স্বামীকে তালাক দেন নয়নতারা। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য চাপ দিলে গত ১৮ এপ্রিল নয়নতারাকে তার বাড়িতে আসতে বলে জামাল। কথামতো জামালের বাড়িতে গেলে জামাল ও তার স্ত্রী, মেয়ে সুমাইয়া, ভাস্তে শাহাবুদ্দিন, বড় ভাই ছালাম ও তার স্ত্রী বেধড়ক মারপিট করে নয়নতারাকে এবং এক পর্যায়ে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। অজ্ঞান অবস্থায় পাশের রাস্তা থেকে সাগর নামে জনৈক ভ্যান চালক নয়নতারাকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করলেও থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত (২৪ এপ্রিল) মামলা গ্রহণ করেনি। উল্টো আসামীর পক্ষ নিয়ে এজাহারের তদন্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এ ব্যাপারে তাকে চুপ থাকতে ও বাড়াবাড়ি না করার পরামর্শ দেন বলে জানান প্রতারণা ও ধর্ষণের শিকার অসহায় ওই নারী।
বড়াইগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শামসুল হক জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত চলছে। অভিযোগকারীকে বলা হয়েছে এ বিষয়ে প্রমাণ উপস্থাপন করার জন্য।