নিউজ ডেস্ক :
এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকলেও লুটপাট, কমিশন বাণিজ্য ও দুর্নীতি থেকে বের হতে পারেনি বিএনপি। দলটির রাজনৈতিক চরিত্র দুর্নীতিপরায়ণ হওয়ায় নেতা-কর্মীরাও বিভিন্ন সময়ে জড়িয়ে পড়ছেন লুটপাট ও ভাগাভাগির ঘটনায়। কর্মীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে পদে পদে বিব্রত হচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।
এবার কাজের ভাগাভাগি, প্রতারণা ও কমিশন বাণিজ্যে মতের অমিলের জেরে বিএনপির দুই নেতা পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছেন। জানা গেছে, পটুয়াখালীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দফতরের কাজের ভাগাভাগি এবং প্রতারণার অভিযোগ এনে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী জেলা বিএনপির ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বশির উদ্দিন শিকদার এবং সদর মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মনিরুজ্জামান টিটু একে অপরকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। দলীয় নেতাদের দুর্নীতি ও মামলার ঘটনায় বিব্রত হচ্ছেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি (বিডিআরআইডিপি) আওতায় এলজিইডি একটি সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করে। প্রায় দেড় কোটি টাকা চুক্তি মূল্যে মেসার্স নাসমুজ শাহাদাত ট্রেডার্সের নামে কাজটি বাগিয়ে নেয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মনিরুজ্জামান টিটু। দরপত্রের চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদার সঠিক স্থানে কাজ না করে তার পছন্দের সড়ক নির্মাণ করার প্রস্তুতি নেয়। এ ঘটনায় রেজাউল ১৯ আগস্ট ওই সড়কের কাজ বন্ধে এলজিইডির নির্বাহী কৌশলীসহ চারজনকে বিবাদী করে পটুয়াখালী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করলে আদালত বিবাদীকে কারণ দর্শানোর আদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বশির উদ্দিন শিকদার জানান, টিটুর কাছে ইটের পাওনা টাকা রয়েছে। টাকা চাইতে গেলে সে টালবাহানা শুরু করে। এদিকে টিটু তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম বলেন, শুনেছি বশির ও টিটুর মধ্যে কাজ নিয়ে ঝামেলা বেধেছে। প্রতারণার অভিযোগ করছেন তারা একে অপরকে। আসলে কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা সেটি বুঝতে পারছি না আমরা। বশির বলছে, সে কাজে পুঁজি খাটিয়েছে, অন্যদিকে শুনলাম টিটু নাকি প্রতারণা করে কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাইরের মানুষ আমাদের গাল-মন্দ ও সমালোচনা করছেন। বিএনপি নেতাদের নিজেদের কাজকর্মে আরো সতর্ক হওয়া উচিত।