ভারত সরকারের অনুদানে তিনশ’ বছরের প্রাচীন নাটোরের শ্রীশ্রী জয়কালী মাতার পুণঃনির্মিত মন্দির উদ্বোধন করলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দ্রুতাবাস থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পুণঃনির্মিত শ্রীশ্রী জয়কালী মাতার মন্দির হস্তান্তর এবং উদ্বোধন করেন ভারত সরকারের পক্ষে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাসের এই কর্মকর্তা। এ সময় কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রাজশাহী সঞ্জীব কুমার ভাট্টি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নাটোর -২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি উমা চৌধুরী জলি , নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোছাঃ শরীফুন্নেছা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়াটার) মীর আসাদুজ্জামান, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান, মন্দির কমিটির সভাপতি খগেন্দ্র নাথ সাহা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের ঐকান্তিক সহযোগিতা এদেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। মধ্যম আয়ের দেশে ধাবিত এই দেশের উন্নয়নকে তরান্বিত করতে ভারত সহযোগিতা দিয়ে যাবে বলে দেশের মানুষ আশা করে।
উদ্বোধনকালে ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, একই সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের সম্পর্ক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সূচিত বন্ধুত্বপূর্ণ এই সম্পর্ক বর্তমানে আরো গতিশীল হয়েছে। ভারত সরকার বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে এবং জীবন-জীবিকার উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো জোড়দার করতে চায়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উচ্চতম পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভারত নিরবচ্ছিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বাস্তবায়নাধীন দেশের ১২টি আইটি পার্কে ভারত সরকারের অর্থায়ন আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে।
উল্লেখ্য, রাজা দয়ারাম রায় প্রায় ৩০০ বছর আগে দেশের অন্যতম প্রাচীন জয়কালী মাতার মন্দির স্থাপন করেন। মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থ মন্দিরটি পরবর্ত্তীতে সংস্কার করা হলেও জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। জরাজীর্ণ এই মন্দিরের সংস্কারে ভারত সরকার ৯৭ লাখ টাকা প্রদান করে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া সংস্কার কাজের ব্যয় বৃদ্ধি পেলে স্থানীয় অর্থায়নসহ মোট এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি।