ডেস্ক নিউজ
দেশের স্কুল-কলেজের শিশু শিক্ষার্থীদের টিকাদান আরও ৩ মাস আগে শুরু হলেও এর আওতায় ছিল না মাদ্রাসাগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সায় না থাকায় এমনটা হয়েছে। তবে সব জল্পনা ডিঙ্গিয়ে রবিবার সারাদেশে শুরু হয়েছে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচী। রাজধানীর মিরপুর জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসায় সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় এ টিকা কার্যক্রম। একই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে শুরু হয় ভাসমান মানুষদের টিকাদান কর্মসূচী। এই কর্মসূচীর আওতায় ফুটপাত, ঝুপড়িঘরে বসবাসরত সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকাবিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব ডাঃ শামসুল হক। এ সময় ডাঃ শামসুল হক বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আওতায় আনতে রবিবার টিকা কার্যক্রম শুরু হলো। এটা শুধু ঢাকা নয়, দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় এ টিকা দেয়া হবে। আস্তে আস্তে এটার প্রসার বাড়ানো হবে। এ জন্য সারাদেশের কওমি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। তারা আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবেন। তিনি বলেন, প্রায় ৩০ লাখ কওমি শিক্ষার্থীকে ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। এদের টিকাকেন্দ্র মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ নিজেরা বাছাই করে দিচ্ছে। যে সব মাদ্রাসা বড় এবং এসির ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলোকেই কেন্দ্র করা হবে। আর উপজেলা পর্যায়ে আমাদের নির্ধারিত কেন্দ্রে এসে শিক্ষার্থীরা টিকা নেবে।