নিউজ ডেস্ক:
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোরা গ্রামের অসহয় বিধবা পারু বিবি। মৃত বাবা কালু গাজীর বাড়িতে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। একদিকে, বিধবা অন্যদিকে বয়স ৬৫ হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি একটি বিধবা বা ভিজিডি কার্ড।
এক সময় নিরুপায় হয়ে একটি কার্ডের জন্য পারু বিবি শরণাপন্ন হন রমজাননগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান গাজীর।
অসহায় পারু বিবি জানান, মৃত বাবার বাড়ির কোণে ছোট একটা কুড়ে ঘরে বসবাস করি। ত্রিশ বছর আগে স্বামী মারা গেছেন। সেই থেকেই বাবার বাড়িতে ছোট একটা কুড়ে ঘরে থেকে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। দেখাশুনা করার মতো কেউ নেই আমার।
পারু বিবি আরও বলেন, একটা ত্রিশ কেজি চালের কার্ড পাওয়ার জন্য ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান গাজীর কাছে গেলে দুই হাজার টাকা দাবি করে। আমি ভিক্ষা করে রোজগার করা ১৫শ টাকা মেম্বারকে দেই। কিন্তু এক বছর ধরে আমাকে ঘুরিয়েছে। আজও কার্ড করে দেয়নি, টাকাও ফেরৎ দেয়নি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান গাজী বলেন, আমি পারু বিবির কাছ থেকে কোনো টাকা পয়সা নেয়নি।
এ বিষয়ে রমজাননগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি আমি জানার পরই পারু বিবির খোঁজখবর নিচ্ছি। তাকে সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।