ডেস্ক নিউজ
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনে কোটা সংস্কার নেতাকর্মীদের উপর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ সময় ভিপি নুরকে অবরুদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি ডাকসুতে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলেও অভিযোগ উঠে।
তবে এ বিষয় একটি ভিডিও প্রকাশিত হবার পর বেরিয়ে আসে ভিন্ন তথ্য। ভিডিওতে দেখা যায়, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের অনুসারী মশিউর, মাহফুজ ও ইয়ামিনসহ বহিরাগত আরো বেশ কিছু যুবক ডাকসু কার্যালয়ের সামনে লাঠি, রড নিয়ে অবস্থান করে। এসময় তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ‘সাহস থাকলে সামনে আয়’ এমন ধরণের উসকানিমূলক মন্তব্য করতেও দেখা যায়। পরবর্তীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বহিরাগত বেশ কিছু যুবক আহত হয় এবং তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির খবর জানা যায়।
এদিকে ভিপি নুরের অনুসারীদের দাবি, আহতদের সবাই তাদের নেতা-কর্মী। তবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা যায়, উক্ত স্থানে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কিছু নেতাও গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, হামলার পর সন্ধ্যায় আহত নুরকে দেখতে হাসপাতালে যান আওয়ামী লীগের নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। তবে হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয়া শুরু করেন অনেকে। এরপর তারা সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে যারা স্লোগান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে তারা কী উদ্দেশে এগুলো করছে, তা খতিয়ে দেখবে পুলিশ। নুর ও অন্যান্য ছাত্রদের ওপর যে হামলা হয়েছে তা অমানবিক এবং এর পিছনে কাদের কী উদ্দেশ্য আছে তা পুলিশকে খুঁজে বের করার নির্দেশও দেন তারা। কোনো গোষ্ঠী বা নির্দিষ্ট একটি স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বেছে নিতে দেয়া হবে না বলেও জানান তারা।