ডেস্ক নিউজ
রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের সব বস্তিতে মঙ্গলবার থেকে করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে টিকাদান শেষ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় যায়যায়দিনকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক।
তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের জোন ভাগ করে এ কার্যক্রম আয়োজন করবে। আমরা শুধু স্বাস্থ্যকর্মী ও টিকা সরবরাহ করব। তারা বাস্তবায়ন করবে।’
ডা. শামসুল হক বলেন, ‘দুই সিটি করপোরেশনে ১২৯টি জোন রয়েছে। এসব জোনের কর্মকর্তা তাদের এলাকার বস্তিতে কার্যক্রম শুরু করবে। ঢাকার সব বড় বস্তিতে এ কার্যক্রম চলবে। যদি কোনো ছোট বস্তি বাদ পড়ে যায় তাহলে ধীরে ধীরে ছোট বস্তিগুলোকেও টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
কড়াইল বস্তির বিষয়ে ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমাদের টার্গেট ছিল ১ লাখ টিকা দেবো। কিন্তু সেখানে চিত্র কিছুটা ভিন্ন। আমরা আমাদের টার্গেট পূরণ করতে পারিনি। কারণ, যারা সেখানে থাকেন তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন স্থান থেকে টিকা গ্রহণ করেছেন। তাই কড়াইল বস্তিতে আর টিকা দেওয়া হবে না।’
শামসুল হক বলেন, ‘সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার সব স্থানে টিকা কার্যক্রম বন্ধ। বস্তিবাসীর সুবিধার্থে শুক্রবার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কারণ, ওই এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে। তারা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেন। কেউ কেউ ছোট অফিস, বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তাই তাদের ছুটি থাকে শুক্রবার। এজন্য শুক্রবার আমরা বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম হাতে নিই।’
শামসুল হক আরও বলেন, ‘আগে যারা নিবন্ধন করেছেন তার তো টিকা নিচ্ছেই। আর যারা নিবন্ধন করতে পারেননি, তাদের জন্য আমরা এখানে অন স্পট নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেছিলাম।’
উলেস্নখ্য, গত মঙ্গলবার কড়াইল বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। স্বল্প সময়ের মধ্যে বস্তিবাসীকে টিকার আওতায় আনতে কড়াইল বস্তিতে প্রথম এ কার্যক্রম চালু হয়।