নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ২৩ জন। শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁদের মৃত্যু হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক এ কে এম এস ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।এ পর্যন্ত ২০টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত ব্যক্তিদের লাশ নিজ এলাকায় নেওয়া হচ্ছে।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা প্রায় ৫০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের মধ্যে দগ্ধ অবস্থায় ৩৭ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।এ ঘটনায় ওইদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম মৃত্যু হয় জুয়েল নামের এক শিশুর। এরপর রাতে, সকালে ও বিকেলে অন্যদের মৃত্যু হয়। মৃতের তালিকায় রয়েছেন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনও।
ভর্তির পর ডা. সামন্ত লাল সেন জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত ৩৭ মুসল্লিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবারই ডিপ বার্ন রয়েছে। শতাংশের হিসেবে কোন রোগীর কতটুকু বার্ন হয়েছে তা তাৎক্ষণিক বলা যাচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, কেউ শঙ্কামুক্ত নন।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।