দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মাছের অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে ২০২ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পের আওতায় ১৬০টি মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন, ২৪০টি মৎস্য অভয়াশ্রম পুনঃসংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, ৩৯২টি দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রদর্শনী খামার স্থাপন, ১৫টি শামুকের চাষ প্রদর্শনী স্থাপন ছাড়াও বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় সভাপত্বি করেন। সভা শেষে এনইসিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, সভায় মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, এর মধ্যে তিনটি সংশোধিত। নতুন প্রকল্পের বরাদ্দ এবং সংশোধিত তিনটি প্রকল্পে বাড়তি বরাদ্দসহ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটিতে ঝিনুক অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, সে বিষয়টি দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য জাকির হোসেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাছের অভয়াশ্রম তৈরির আরো চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। সে সময়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। সব অভয়াশ্রম কার্যকর না থাকলেও সেসব প্রকল্প থেকে অনেক সুফল পাওয়া গেছে। দেশে মৎস্য উৎপাদন বেড়েছে।
সভায় জানানো হয়, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, নড়াইল, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার সব উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। সেইসঙ্গে ফরিদপুর জেলার দুইটি উপজেলায় ও বাগেরহাট জেলার দুইটি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ১১০টি ধানখেতে মাছচাষ প্রদর্শনী স্থাপন, ১০০টি ইউনিট খাঁচায় মাছ চাষ ছাড়াও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
একনেক সভায় ৫৩৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরপি) (রাজউক অংশ) প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়েছে ১০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এছাড়া ৫১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।