নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আলীকে পুকুর থেকে দেড় মণ মাছ চুরি, মারপিট ও শ^াসরোধ করে হত্যা চেষ্টা মামলায় ছেলেসহ কারাগারে পাঠিয়েছে বিচারক। মঙ্গলবার বিকেলে বাগাতিপাড়া আমলি আদালতের বিচারক মোসলেম উদ্দিন বাবা ছেলেকে কারাগারে পাঠালেও তার স্ত্রীকে জামিন প্রদান করেছেন।
বাগাতিপাড়া আমলি আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নাটোরে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ইউনুস আলীর সাথে প্রতিবেশী মৃত এসএম আবুল কালাম আজাদের পরিবারের ৩৩ শতাংশের একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সকাল ৭টায় অধ্যাপক ইউনুস আলী বিবাদমান এই পুকুর থেকে লোকজন নিয়ে আনুমানিক দেড় মন রুই কাতল ও মৃগেল মাছ ধরে বাড়ি নিয়ে যান। বিষয়টি জানতে পেরে মৃত এসএম আবুল কালাম আজাদের স্ত্রী সেলিনা বানু ডেজি, তার মেয়ে সাদিয়া আফরিন, দেবর এসএম হুমায়ুন কবির ও দেবরের স্ত্রী নাজমুন নাহার মিতাসহ অন্যদেরকে নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে ইউনুস আলীর বাড়িতে যান। এ সময় অধ্যাপক ইউনুস আলী (৬৫), তার স্ত্রী জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ফরিদা পারভীন (৬০) ও তাদের ছেলে ইফতেখার রহমান সৌরভ (২৮) বাদীসহ অন্যদের উপরে হামলা করে মারপিট করে। হামলাকারীরা কাঠের বাটাম দিয়ে মারপিট করার পাশাপাশি বাদীকে শ^াসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। ইউনুস আলী ও তার ছেলে হামলার সময় বাদীর সোনার চেইন ছিড়ে নেয় এবং পড়নের পোষাক ও চুল ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী করে বলেও বাদী মামলায় উল্লেখ করেন। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিন নেন। মঙ্গলবার মামলার নির্ধারিত তারিখে পুনরায় আদালতে হাজিরা দিতে আসলে আদালতের বিচারক পিতা-পুত্রের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠায়। মামলার আসামীপক্ষের আইনজীবী সুখময় রায় বিপ্লু জানান, পুকুর নিয়ে বিবাদের জের ধরে অধ্যাপক ইউনুস আলী প্রথমে মামলা করেন। পরে তার কাউন্টার মামলা হিসেবে সেলিনা বানু ডেজি এই মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক এই মামলায় জামিনে থাকা অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক ইউনুস আলী ও তার ছেলে সঙ্গীত প্রশিক্ষক ইফতেখার রহমান সৌরভকে কারাগারে পাঠিয়েছে। একই মামলায় ইউনুস আলীর স্ত্রীকে জামিন প্রদান করেছেন।