সারা দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদনের সময়সীমা বাড়ালো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে। বয়সের ফাঁদে পড়ে বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিশু স্কুল ভর্তিতে আবেদন করতে না পারায় নতুন করে আবেদন নেয়া শুরু হয়েছে। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন করা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগে বয়সের কারণে আবেদন করতে না পারা শিক্ষার্থীরা এখন আবেদন করতে পারবে। আবেদনের জন্য সফটওয়্যার বিকাল ৫টা থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত আবেদনের জন্য সফটওয়্যার চলমান থাকবে। আগামী ১১ জানুয়ারি ভর্তির লটারি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ১৫ থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি আবেদন নেওয়া হয়েছিল। ৩০ ডিসেম্বর ভর্তি লটারির নির্ধারিত দিন ছিল। তবে নির্ধারিত শ্রেণিতে ভর্তির নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কয়েকদিন কম হওয়ার কারণে বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু আবেদন করতে পারেনি।
সরকারি নিয়মানুযায়ী ১ম শ্রেণিতে ভর্তির ন্যূনতম বয়স ছয় বছরের বেশি এবং ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ন্যূনতম বয়স ১১ বছর। কিন্তু এবার বয়স সংক্রান্ত জটিলতার কারণে অনেকেই আবেদন করতে পারেনি। কিন্তু এ নিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ডিজিটাল লটারি কার্যক্রম’ স্থগিত করে এখন আবেদন ও লটারির নতুন সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরীর ভেতরে ৩৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট আসন আছে সাড়ে ১১ হাজারের মতো। এর সঙ্গে জাতীয়করণ হওয়া আরও দুটি বিদ্যালয় যুক্ত হচ্ছে। এসব বিদ্যালয়গুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজটি হয়ে থাকে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিদ্যালয়গুলোকে এ, বি এবং সি মোট তিনটি ভাগে ভাগ করে ভর্তির কাজ করা হবে। একজন শিক্ষার্থী একটি ভাগের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।