ডেস্ক নিউজ
ব্যাংকগুলো যে দরে নগদ ডলার বিক্রি করবে সেটির সঙ্গে সর্বোচ্চ দেড় টাকা যোগ করে এখন থেকে ডলার বিক্রি করতে পারবে মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে খোলাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয়কারীদের
সংগঠন মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম।
বর্তমানে একেক ব্যাংক একেক দরে নগদ ডলার কেনাবেচা করে। ব্যাংকগুলোর নগদ ডলার কেনাবেচার দরের মধ্যে কয়েক টাকা পর্যন্ত ফারাক দেখা যায়। আবার একটি ব্যাংকের নগদ ডলার কেনা ও বিক্রির দরের মধ্যেও ব্যবধান (স্প্রেড) থাকে বেশি।
এমন প্রেক্ষাপটে সব ব্যাংক খুব দ্রম্নত একটি একক (ইউনিফর্ম রেট) নির্ধারণ করবে, যা বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাবে।
এর আগে গত ১৪ আগস্ট সংকট সামাল দিতে ডলার কেনাবেচায় ব্যাংকের দামের ব্যবধান (স্প্রেড) সর্বোচ্চ কত হতে পারবে তা বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। যে দরে ডলার কেনা হবে, বিক্রির দাম তার চেয়ে সর্বোচ্চ ১ টাকা বেশি হতে পারবে।
ওই দিন বাফেদা ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
আর খোলাবাজারে সংকট তীব্র হওয়ায় ডলারের দর অনেক বেড়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে বুধবার মানি চেঞ্জারদের সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা; যেখানে ব্যাংকের মতো ডলার বিক্রির সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল শিকদার বলেন, ‘বাফেদার কাছ থেকে রেট নিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সদস্যদের জানিয়ে দেওয়া হবে প্রতিদিন।’
এ প্রক্রিয়া নির্ধারণে আগামী সপ্তাহে বৈঠক ডেকে সংগঠনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।