নিউজ ডেস্ক:
বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি’র সাতকাহন নামে একটি টকশোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরোক্ষভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে সমালোচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শেখ হাসিনাকে হুমকির জেরে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হওয়ার পরদিন সাতকাহনে দেয়া বক্তব্যের আঙ্গিক পরিবর্তন করে মিথ্যাচার করছেন। এমন প্রেক্ষাপটে বলা হচ্ছে, তিনি আসলে মামলা থেকে বাঁচতেই এমন করছেন।
এরইমধ্যে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা এস কে সাদি স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দুদু বলেন, ‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ডিবিসি টিভিতে রাজকাহন নামে একটি টকশোতে আমরা কয়েকজন উপস্থিত ছিলাম। ওই অনুষ্ঠানে আমার বক্তব্যকে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করে ফেসবুকে দেয়ার প্রেক্ষিতে একটি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। যা অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক। সেই বক্তব্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার যেভাবে পতন হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও সেইভাবে পতন হবে’ এ বক্তব্য সঠিক নয়।’
এমন বাস্তব ও রেকর্ডেড সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করায় নতুন করে রাজনৈতিক মহলে সমালোচিত হচ্ছেন দুদু। রাজনীতি সচেতনরা বলছেন, তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে ছড়িয়ে আছে। এটি মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা একধরণের বোকামি। কিন্তু তবুও তিনি এটি করছেন রাজনৈতিক হালচাল বুঝে। তিনি মূলত ভীত।
এদিকে তার নিজের বক্তব্য তিনি কেবল অস্বীকারই করছেন তা না, বরং আওয়ামী লীগের প্রতি নমনীয় আচরণও করছেন তিনি। তিনি তার বিবৃতিতে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমার সঙ্গে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক ভিন্নতা আছে এটা সত্য। কিন্তু বৈরিতা নেই। রাজপথে ছাত্রলীগের অনেক বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে এখনো আমার সখ্যতা আছে।’
দুদু আরও বলেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে একাধিকবার আমি বলেছি একটি সরকারের পতন দুইভাবে হয়, ১. নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ২. গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের বাইরে আর কিছু করেছি তার নজির নাই। ওই টকশোতে আমার বক্তব্য আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগসহ কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। হয়তো এমন হতে পারে আমি যা বলতে চেয়েছি তা সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি নাই, এটা আমার ব্যর্থতা।’