ডেস্ক নিউজ
দেশে ফাইভ জি নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু হচ্ছে আজ রোববার (১২ ডিসেম্বর) থেকে। শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়সহ ছয়টি এলাকায় সীমিত পরিসরে ফাইভ জি নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে। তবে এটি সম্পূর্ণ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হচ্ছে।
পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রেডিসন ব্লুতে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এই সেবার উদ্বোধন করবেন।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘২০২০ সালে বিশ্বের ৮টি দেশ ফাইভজি চালু করে। মালয়েশিয়া আগামী বছরের মার্চে চালু করবে। আমাদের জন্য সৌভাগ্য যে আমরা নবম বা দশম দেশ হিসেবে এই প্রযুক্তি চালু করছি।’
মন্ত্রী জানান, ‘টেলিটকের ফোরজি সিমেই ফাইভজি সেবা মিলবে। ফোরজি সিম ফাইভজিতে সক্রিয় করে নিতে হবে। তবে টেলিটক গ্রাহকরা সবাই এখনই এ সুবিধা পাবেন না। প্রথম পর্যায়ে নির্দিষ্ট কিছু গ্রাহকের ফোরজি সিম ফাইভজিতে সক্রিয় করে দেওয়া হবে। আর ফাইভজি সেবা পেতে হলে মোবাইল হ্যান্ডসেটটিও ফাইভজি সক্ষম হতে হবে। ভয়েস কল বা মোবাইল ফোনে কথা বলতে এ সেবা কাজে লাগবে না। সেবাটি ইন্টারনেটের গতি বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।’
পঞ্চম প্রজন্মের ফাইভ জি প্রযুক্তি সেবা শুধু গ্রাহকদের জন্য মোবাইল ব্রডব্যান্ড ও ভয়েস কলের প্রযুক্তিতে সীমাবন্ধ নয়।
এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন, আইওটি, হিউম্যান টু মেশিন, মেশিন টু মেশিন এর মতো নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যাবে।
প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রযুক্তি সেবা বিশেষ করে ক্রিটিক্যাল মিশন সার্ভিস, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট সিটি, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ফ্যাক্টরি সুবিধা দেওয়া যাবে।