আগামী ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা আট হাজার টাকা বাড়িয়ে মোট ২০ হাজার করার প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে কমিটির বাকি ৯ সদস্যের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট সাধারণ শিক্ষায় অধ্যয়নরত প্রতিজনকে এক হাজার টাকা এবং মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত প্রত্যেককে ১ হাজার ৫০০ টাকা হারে ২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৪৬০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছে।
বৃত্তিপাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে তা যাচাই বাছাইয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য বৃত্তিপ্রাপ্তদের বিস্তারিত তথ্য মন্ত্রণালয়কে আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের আয় ও ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব বিবরণী এবং আয়-ব্যয়ের অডিট প্রতিবেদনসহ আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের যে চিকিৎসা খরচ দেওয়া হয় প্রয়োজন অনুযায়ী তা মাসিক হারে প্রদানের ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়।
পহেলা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার প্রস্তাব : পহেলা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, একসময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা থাকবেন না তখনও যাতে তাদের স্মরণ করা হয় সে কারণে মুক্তিযোদ্ধা দিবস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি ঘোষণা না থাকলেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সরকার যদি গেজেট করে দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তখন সেটা পালন করার একটা বাধ্যবাধকতা থাকে। আমরা মন্ত্রণালয়কে বলেছি। তারা এখন সেটা মন্ত্রিসভায় তুলবে। মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক ভার্চুয়ালি করার প্রস্তাব : এদিকে করোনা মহামারীর কারণে সংসদীয় কমিটির বৈঠকগুলোতে অংশগ্রহণ অনেক কমে যাওয়ায় এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, আমাদের কমিটিতে কয়েকজন সদস্য আছেন বয়োজ্যেষ্ঠ। অনেকেই বয়সের কারণে বৈঠকে আসতে পারেন না। আবার অনেকে করোনার কারণে আসতে পারছেন না। তারা যদি ভার্চুয়ালি অংশ নিতে পারেন, তাহলে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা প্রাণবন্ত হবে। আমরা স্পিকারের কাছে প্রস্তাবটি পাঠাব। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেটাই হবে।