ডেস্ক নিউজ
দেশের সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে চলমান প্রকল্পে বাড়তি ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমান বিনিময়হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা) এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ১১৬ কোটি টাকা।
এই অর্থে ব্যবস্থাপনায় উন্নতির মাধ্যমে মুহুরী সেচ প্রকল্পকে বড় ধরনের সেচ নেটওয়ার্কে রূপান্তরের সুযোগ তৈরি হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) চলমান ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পে’ এ অর্থ পাওয়া যাবে। ২০১৪ সালে নেয়া এ প্রকল্প ২০২২ সালের জুনে শেষ হবে। ৫৮০ কোটি ১৪ লাখ টাকার এ প্রকল্পে অতিরিক্ত অর্থায়নসহ এডিবি’র ঋণ সহায়তা দাঁড়াচ্ছে ৪৭৬ কোটি টাকা।
ইআরডি বলছে, এই ঋণ সহায়তা দিয়ে ফেনীর সোনাগাজীতে অবস্থিত মুহুরী সেচ প্রকল্পের আধুনিকায়ন ও প্রকল্প সুবিধাভোগীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে টেকসই সেচ উন্নয়ন, পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। প্রকল্পটিকে গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প (জিকে) এবং তিস্তা সেচ প্রকল্পের মতো বড় সেচ প্রকল্পে রূপ দেয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণ, বন্যা প্রতিরোধ করে বিদ্যমান পানিসম্পদের কার্যকর ব্যবহার করা হবে। সে সুবাদে প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি ও উন্নত জীবনমান নিশ্চিত হবে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, ‘এই অর্থ পানির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নতি ও সেচের অবকাঠামো তৈরিতে সহায়ক হবে। এতে সেচের অবকাঠামো আধুনিক করার পাশাপামশ বিদ্যমান ডিজেল পাম্পগুলোকে বিদ্যুৎচালিত পাম্প দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হবে।’
মুহুরী সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ সংস্কার ও প্রায় ৪০০ কিলোমিটার খাল পানিপ্রবাহের উপযোগী করা হবে। এতে শুষ্ক মৌসুমে বাড়তি প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সেচে সুবিধা হবে। সেচের আওতায় আসবে প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমি। প্রকল্পে কমপক্ষে ২ শতাংশ নারীকে পাম্প অপারেটর, ৫ শতাংশ নারীকে পানি সরবরাহকারী ভেন্ডর এবং ৫ শতাংশ নারীকে নির্মাণ কাজে সম্পৃক্ত করা হবে।
এডিবির সহজ শর্তের এ ঋণের বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ। এই ঋণ পাঁচ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ (সুদ, আসল বা ঋণের কিস্তি দিতে হবে না) ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।