চলমান করনা মহামারির কারণে শিক্ষা ব্যাবস্থায় আচলাবস্থা কাটাতে শিক্ষার্থীদের মোবাইল কেনার জন্য ঋণ প্রকৃয়ার ব্যাবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে ।চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়া হচ্ছে অনলাইনে। সম্প্রতি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও শুরু হয়েছে অনলাইন ক্লাস। তবে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় ডিভাইস না থাকায় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারছেন না।
অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে তাদেরকে স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই শিক্ষাঋণের এই অর্থ দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে সহজ শর্তের এই ঋণের টাকা ঠিকমত পরিশোধ না করলে আটকে দেয়া হবে ওই শিক্ষার্থীর সনদপত্র।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, সব শিক্ষার্থীকে অনলাইন ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। সম্মতি পেলে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে সবকিছুই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।
ইউজিসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা দিতে বলেছিলাম। তারা তালিকা পাঠিয়েছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো তালিকায় অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো সংশোধন করতে চিঠি দেয়া হবে। যেগুলোর তালিকা নিয়ে সমস্যা নেই সেগুলোর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি।
জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার অর্থ বা সামর্থ্য নেই তাদের তালিকা আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছে ইউজিসি। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীদেরকে স্মার্টফোন কিনে দিতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। বিষয়টি নিয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনা চলছে। সব ঠিক থাকলে চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে ১০ হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। তাদেরকে মাসিক ৫শ টাকা করে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেয়া হবে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষাঋণ অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরিশোধ করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী তার শিক্ষাবর্ষের মেয়াদে ঋণ পরিশোধের সুযোগ পাবেন। এই ঋণ পরিশোধ না করলে তাকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে না।