ডেস্ক নিউজ
যশোর শহরের কাপুড়িয়াপট্টি রোডের মতিয়ার সুপার মার্কেটের ‘প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্স’ থেকে চুরি হওয়া ৩৭ ভরি স্বর্ণের মধ্যে ১০ ভরি স্বর্ণসহ দুই চোরকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- স্বর্ণ চুরির মূলহোতা মো. রুবেল (২৫) ও ভৈরব বাজারের শ্রীলক্ষ্মী স্বর্ণ শিল্পালয় দোকানের মালিক নেপাল বিশ্বাস (২৭)। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ভৈরব বাজার স্বর্ণপট্টির দোকান থেকে নেপাল বিশ্বাস এবং শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে রুবেলকে পৌর শহরের মুসলিমের মোড় থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
যশোরের স্বর্ণের দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চেনার পর তদন্ত করে নাম-পরিচয় ও ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে প্রথমে রুবেলকে এবং তার স্বীকারোক্তিতে নেপালকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ২৭ জুন দিনে-দুপুরে যশোরের প্রিয়াঙ্গন জুয়েলার্স থেকে ৩৭ ভরি স্বর্ণ চুরি করে কয়েকজন চোর। ঘটনার সময় দোকানটি বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় দোকানের মালিক অমিত রায় আনন্দ ওই দিনই যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এরপর মামলাটি যশোর ডিবি পুলিশকে তদন্ত করতে দেয়া হয়।
ডিবি পুলিশ জানায়, দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কয়েকজন চোরকে চিহ্নিত করা হয়। কয়েকদিন আগে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী চোর চক্রের সদস্য চট্টগ্রামের আব্দুর রহিম বাদশা ও সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় দুজনের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিন ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চোর চক্রের সদস্য সুমন ও উজ্জলকে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
যশোর ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শামীম বলেন, গত সাড়ে চার মাস ধরে এ মামলা তদন্ত করছি। স্বর্ণ চোরদের একটি চক্র রয়েছে। তারা অনেক শক্তিশালী। সারাদেশে ছড়িয়ে আছে তারা। তদন্তে জানতে পারি যশোরের স্বর্ণের দোকান চুরির মূলহোতা রুবেল। ভৈরব শহরে বাসা ভাড়া করে পরিবারসহ থাকলেও তার বাড়ির আসল ঠিকানা বলছে না। তবে স্বর্ণ চুরির কথা স্বীকার করেছে রুবেল।
তিনি বলেন, রুবেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্বর্ণ ক্রেতা নেপালকে গ্রেফতার করা হয়। ১০ ভরি স্বর্ণ কিনেছেন বলে স্বীকার করেছেন নেপাল। পরে তার দোকান থেকে ১০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। তাদেরকে যশোরে নিয়ে যাওয়া হবে।
ভৈরব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন বলেন, স্বর্ণ চুরির ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করেছি আমরা। ঘটনাটি তদন্ত করছে ডিবি।