ডেস্ক নিউজ
রাজধানীর মহাখালীতে ২২২টি আইসিইউসহ মোট এক হাজার ১০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ডিএনসিসির করোনা হাসপাতাল। গতকাল রবিবার দুপুরে এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
আজ সোমবার থেকে শুরু হবে হাসপাতালটির কার্যক্রম। এই হাসপাতালে থাকছে আইসোলেশন সেন্টারও। আজ থেকে ১০০টি সাধারণ শয্যা, ৫০টি আইসিইউ, ৫০টি এইচডিইউ, ৫০টি ইমার্জেন্সি এবং ১৮টি আইসিইউ কেবিনের সুবিধা চালুর কথা রয়েছে। তবে এক সপ্তাহ পর হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর আমরা বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার এবং ডিএনসিসির এই মার্কেটটিকে কভিড রোগীদের আইসোলেশন সেন্টার বানাই। তখন আমরা অল্প দিনেই কভিড মোকাবেলা করতে পেরেছিলাম। প্রথম ধাপ পার করার পর এই মার্কেটটিকে আমরা টেস্টিং সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করি। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ লোক সংক্রমিত হয়েছে। ফলে হাসপাতালে রোগীর চাপও ১০ গুণ বেড়েছে। এ কারণেই আমরা আবারও এই মার্কেটটিকে করোনা হাসপাতাল করতে কাজ শুরু করি। মাত্র ২০ দিনের মধ্যে হাসপাতালের কাজ শেষ করেছে ডিএনসিসি এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ভবনে আমরা ২৫৮টি দোকান বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সেটা বাতিল করে এখানে আমরা করোনার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল করেছি। ঢাকা ভাগ হওয়ার সময় উত্তরে কোনো হাসপাতাল ছিল না। ফলে এখন এটাই ডিএনসিসি এলাকার প্রথম হাসপাতাল। এতে মোট ১৭৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই মার্কেটে যাদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল তারা ১১ জন আমার বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। তবে আমি অবশ্যই তাদের জন্য অন্য জায়গায় দোকান বরাদ্দ দেব।’ এ সময় এই হাসপাতালটিকে কভিড মোকাবেলার পরে একটি নার্সিং কলেজ করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মেয়র।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।