যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর, তবে আদালত নির্দিষ্ট করে আমৃত্যু কারাদণ্ড উল্লেখ করলে আসামিকে বাকি জীবন জেলে কাটাতে হবে বলে রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
মঙ্গলবার সকালে যাবজ্জীবন মানেই আমৃত্যু কারাদণ্ড আপিল বিভাগের এই রায়ের ব্যাখ্যায় এসব তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে রিভিউ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
আপিল বিভাগ এই রায়ের রিভিউ পিটিশন শুনানির সময় ৪ এমিকাস কিউরির মতামত নেন। চার এমিকাস কিউরিরা হলেন, সিনিয়র আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ, এ এফ হাসান আরিফ, এ এম আমিন উদ্দিন এবং আব্দুর রেজ্জাক খান।
ঘোষিত রায়ে বলা হয়, প্রাথমিক অর্থে যাবজ্জীবন কারাবাস মানে কোনো দণ্ডিতের বাকি জীবন। ফৌজদারি কার্যবিধি ও দণ্ডবিধির এ-সংক্রান্ত বিধানগুলো একসঙ্গে পড়লে যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছরের কারাবাস। তবে আদালত, ট্রাইব্যুনাল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক কাউকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হলে সেই দণ্ডিত ব্যক্তি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ ধারার সুবিধা পাবেন না।
২০০১ সালে সাভারে জামান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ২০০৩ সালে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। হাইকোর্টে আপিলের পর বিচারিক আদালতের দণ্ড বহাল থাকে। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পর ২০১৭ সালে আসামিদের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন সর্বোচ্চ আদালত।
গত বছর ১১ জুলাই প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে শুনানি শেষে রিভিউ আবেদনটির রায় অপেক্ষমাণ রাখেন। গত মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি রায়ের জন্য আজকের দিনটি ধার্য করে।