ডেস্ক নিউজ
যারা হাত পাততে পারে না, তাদের সবার ঘরে চাল পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের ১৬টি জেলার স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য, সিভিল সার্জন এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সর্বশেষ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
যারা হাত পাততে পারে না তাঁদের সকলের ঘরে খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান পুণর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজ না থাকায় অনেকে কাজ করতে পারছেন না আবার রিলিফও চাইতে পারছেন না, এরকম বহু পরিবার রয়েছে। তাদেরকে ঘরে বাইরে বাইরে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা ইতিমধ্যে নিয়েছি। সেটা সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, তাছাড়া ১০ টাকা কিলোয় চাল বিক্রি, ওএমএস-এর চালেরও দাম কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজেই, আমাদের খাদ্যের কোন অভাব নেই বরং যথেষ্ট খাদ্য সামগ্রী রয়ে গেছে সেটা আমরা প্রয়োজনে দিতে পারবো।
বাজারজাত করার সময়ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর গুরুত্বরোপ করে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দেন যে, হাট-বাজার একেবারে বন্ধ না রেখে বড় একটি মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সপ্তাহে একদিন হলেও এগুলো বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, সেখান থেকে মানুষ পণ্য কিনে নেবে, কিন্তু অনেক মানুষের ভিড় যেন না হয় সেদিকে সকলে লক্ষ্য রাখবেন।
ত্রাণ সরবরাহে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে এ ধরনের ঘটনার তাৎক্ষণিক শাস্তি বিধান করা হবে। কারণ এই ধরণের দুর্নীতি আমরা কখনোই বরদাশত করবো না।’
তিনি বলেন, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক যত কমানো যায়, সেটিই ভাল। ফসল তরি-তরকারি, ফলমূল আর নষ্ট হওয়ার কোন আশংকা নেই। কারণ, এগুলো বিক্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য তাঁর সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আগামী বাজেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির ঘোষণার পাশাপাশি কৃষিখাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে সহায়তার জন্য সর্বাধিক ৫ শতাংশ হার সুদে ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড.আহমদ কায়কাউস ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।