ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের অসন্তোষ দূর করতে চায় সরকার। সম্প্রতি এলিট ফোর্স র্যাব এবং তার বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির পর সরকার এমন মনোভাব ব্যক্ত করেছে। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র এমন পদক্ষেপ নিয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইনি ফার্ম নিয়োগ করছে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিছু দেশের যদি বাংলাদেশের প্রতি অসন্তোষ থাকে তবে আমরা তা দূর করব। আমাদের লক্ষ্য হলো সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করা। কোনো কারণে কিছু দেশের আমাদের প্রতি অসন্তোষ থাকতে পারে। আমরা ওই সব কারণ খুঁজে বের করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে পাঠানো চিঠির জবাব পাওয়া গেছে কিনা-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এখনও জবাব পাওয়া যায়নি। কবে আসবে জবাব জানি না। আমরা সব সময় আশাবাদী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন যে, কেউ কেউ মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক শত্রু আছে মিথ্যা তথ্য দেয়। আমাদের কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধনের চেষ্টা করব।’
তিনি বলেন, সরকার বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়-এ মৌলিক নীতি মেনে চলার চেষ্টা করবে। আমরা নিরপেক্ষ থাকার ব্যাপারে আমাদের সব চেষ্টা অব্যাহত রাখব। মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের সামনে এ বিষয়ে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। গণতন্ত্রের জন্য খুব কম দেশই রক্ত দিয়েছে। আমরা গণতন্ত্রের মানোন্নয়ন করব। কোনো গণতন্ত্রই পারফেক্ট নয়। গণতন্ত্রের মানোন্নয়নের প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠ যখন স্তব্ধ হয়েছিল। নির্বাচনের ফল মেনে নিতে চায়নি। তখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য। বিশ্বের নেতারা বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করবে। মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবসের বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সমস্যা আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করব।