যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করছেন প্রধান দুই প্রার্থী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। এখন পর্যন্ত জনমত জরিপে এগিয়ে আছেন বাইডেন। আর ১৫ কোটি ভোটারের মধ্যে এরই মধ্যে আগাম ভোট পড়েছে সাড়ে ৯ কোটির বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বিশ্বের নজর এখন এই নির্বাচনের দিকে। নির্বাচনি মাঠে রিপাবলিকান দল থেকে রয়েছেন গত মেয়াদের জুটি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। আর ডেমোক্রেটরা প্রেসিডেন্ট পদে বেছে নিয়েছেন জো বাইডেনকে, যিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। আর বাইডেনের রানিং মেট হিসেবে রয়েছেন কমলা হ্যারিস।
এবারের নির্বাচনে প্রধান ইস্যু হিসেবে ধরা হচ্ছে করোনা মহামারি। করোনা মোকাবেলায় ট্রাম্প ব্যর্থ- বিরোধী শিবির থেকে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ জোরালো। আর স্বাস্থ্যবিধির মানাতে জোর দিচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন।
বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা ট্রাম্পের অন্যতম নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগানে ট্রাম্পের প্রচারণা দীর্ঘদিনের। আর করোনার ধাক্কা সামাল দিতে প্রয়োজনীয় অর্থ খরচ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন। তার অর্থনৈতিক নীতিমালার স্লোগান হচ্ছে: বিল্ড ব্যাক বেটার।
নির্বাচনে আরেকটি বড় ইস্যু বর্ণবৈষম্য। পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর সারা দেশে বর্ণবাদবিরোধী ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন শুরু হলে পুলিশের পক্ষে ট্রাম্পের সমর্থন আরো জোরালো হয়। বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্ষমতায় এলে বৃহৎ অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচির মাধ্যমে কমাবেন দেশটির বর্ণবাদ বিরোধ।
ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিরও অন্যতম একটি ভিত্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন কমিয়ে আনা। বাইডেন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমতায় এলে ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত অনেক সিদ্ধান্ত, বাতিল করে দেবেন।
পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান আমেরিকা ফার্স্ট। এছাড়াও চীনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের পণ্য টিকিয়ে রাখা ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরো একটি প্রতিশ্রুতি। বিদেশে মোতায়েন মার্কিন সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে আনারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
বাইডেন বলছেন প্রেসিডেন্ট হলে তিনি বিশ্বে আমেরিকার নেতৃত্ব পুন-প্রতিষ্ঠা করবেন। জলবায়ু রক্ষায় ফিরে যাবেন প্যারিস চুক্তিতে। এছাড়াও ৯৭ শতাংশ মার্কিন নাগরিককে ওবামা কেয়ার ইন্সুরেন্সের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাইডেন।