মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে যেই ক্ষমতায় আসুক, বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
বুধবার নিজের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্র নীতি কোনো ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে না উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে কেউ ক্ষমতায় আসুক না কেন, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনে কে জিতবে তা এত আগেই বলা যাচ্ছে না। এটি প্রযুক্তিগতভাবে ভিন্ন ধরনের একটি নির্বাচন। তারা প্রতিটি রাজ্যের মর্যাদা ধরে রেখে খুব সুন্দরভাবে ব্যবস্থাটি তৈরি করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব ভালো করছে এবং বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিকভাবে খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। আমরা নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছি। কোনো দেশের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা নেই। আমরা সবার মঙ্গল কামনা করি।
তার মতে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সর্বত্র স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। আমরা দৃঢ় স্থিতিশীলতা চাই।
২০১৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির কারণে প্রবাসীদের অসুবিধা হলেও টিপিপি তুলে দেয়ায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প আসার পরে আমাদের দেশের প্রবাসীদের অনেকের অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশের বড় উপকার হল উনি (ট্রাম্প) এসে টিপিপিটা বাদ দিয়ে দিলেন। আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলো বিনা ট্যারিফে আমেরিকায় জিনিস পাঠাত, এগুলো তিনি বাদ দিয়ে দিলেন। তার ফলে আমাদের একটা ভালো সুবিধা হয়।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উনি (ট্রাম্প) আসার পর আমাদের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত হয়েছি অনেকটা, আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমরা উন্নতিও করেছি। আমরা কারও ওপর নির্ভরশীল না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারী শুরুর পর থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনসহ অনেক দেশ নিজ নিজ দেশে ব্যস্ত সময় পার করছে। নির্বাচনের ফলাফলের কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা না থাকায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।