ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের যুবসমাজই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রধান কারিগর। গতকাল ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সম্পর্কীয় সব কার্যক্রমের সমন্বয়সাধন, দক্ষতার পারস্পরিক স্বীকৃতি, অভিন্ন প্রশিক্ষণ কারিকুলাম প্রণয়ন ও সনদায়ন এবং পূর্ব অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সরকার সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের আহ্বানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো প্রতি বছর ১৫ জুলাই ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উদ্যাপন করতে যাচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের যুবসমাজই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের প্রধান কারিগর। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমেই আমাদের যুবসমাজের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জিত হতে পারে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে তাদের সচেতন করা, আধুনিক প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত করা ও কর্মসংস্থানের পথনির্দেশনা প্রদান করার ক্ষেত্রে বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস পালন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে- এ আমার প্রত্যাশা।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন যুবসমাজের আইকন। তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে যুবরাই জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। শুধু তাই নয়, তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় এবং সৃজনশীল। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে যুবসমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে ‘বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস’ উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।