ডেস্ক নিউজ
রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলে শিল্পবিপ্লবের সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আওয়ামী লীগসহ অনেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক সভায় প্রায় ৪ হাজার ১৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রকল্পটি ২৫৮ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।
২০১১ সালে রংপুর জেলা সফরকালে এ অঞ্চলে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়া থেকে রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রকল্প স্থাপনে প্রকৌশলীরা সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ করে একনেকে জমা দিয়েছিলেন। এ প্রকল্পের আওতায় ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের সঞ্চালন লাইন দিয়ে ২৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হতে পারে। রংপুর বিভাগে গ্যাস সরবরাহের জন্য সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্ক নির্মাণের প্রকল্পটি দীর্ঘদিন একনেকে ঝুলে ছিল।
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি শাফিউর রহমান সফি ও সাধারণ সম্পাদক তুষারকান্তি মন্ডল বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রূপকার। তিনি কথা দিয়েছিলেন এ অঞ্চলে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করার। তিনি কথা রেখেছেন। আশা করি খুব দ্রুত এ অঞ্চলে শিল্পবিপ্লব হবে। বেকারত্ব দূর হবে।’ তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সাবেক পৌর চেয়ারম্যান কাজী মো. জুননুন বলেন, ‘অনেকেই প্লট কিংবা জমি কিনে বসে ছিলেন গ্যাস সরবরাহের আশায়। গ্যাস সরবরাহ হলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন হবে। কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।’
রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি দূর হবে দারিদ্র্য বৈষম্য। রংপুরের পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে অনেক দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা শিল্প প্লট কিনে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন।’
রংপুর মেট্রাপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘গ্যাস এলেই এ অঞ্চলে শিল্পবিপ্লব ঘটবে। এ ছাড়া রংপুরে প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ গঙ্গাচড়ার মহিপুরে ১ হাজার একর জমির ওপর বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও রংপুরের সব উপজেলার শিল্পকারখানায় পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।’