ডেস্ক নিউজ
রবিবার থেকে ঢাকা-জামালপুর-ঢাকা (ভায়া বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব) রুটে চালু হচ্ছে নতুন ট্রেন জামালপুর এক্সপ্রেস। সকাল ১০ টায় গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী আন্তঃনগর এ ট্রেনের উদ্ধোধন করবেন।
এছাড়াও, উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক নতুন কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপন, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ঢালারচর এক্সপ্রেস নামে ঢালারচর পর্যন্ত বর্ধিতকরণ এবং ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা রাজবাড়ী এক্সপ্রেস নামে ভাঙ্গা পর্যন্ত বর্ধিত করণেরও উদ্বোধন করা হবে।
জামালপুর এক্সপ্রেস ঢাকা ছাড়বে সকাল সাড়ে ১০ টা। জামালপুর পৌঁছাবে বিকাল ৪ টা ৫ মিনিটে এবং জামালপুর ছাড়বে বিকাল পৌনে ছয়টার সময় ঢাকা পৌঁছাবে রাত সাড়ে ১১ টায়। ট্রেনের বিরতি স্টেশনের নাম সমূহ: বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব, ভূঞাপুর, হেমনগর, অ্যাড. মতিউর রহমান, তারাকান্দি, সরিষাবাড়ি।
রেল সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর এক্সপ্রেসে এসি চেয়ার ১১০টি ও শোভন চেয়ার ৫১০টিসহ সর্বমোট ৬২০ টি আসনের ব্যবস্থা থাকবে। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হবে রবিবার। ট্রেনটিতে যাত্রী সুবিধা সম্বলিত প্রতিটি কোচ স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি। প্রতিবন্ধী যাত্রিদের হুইল চেয়ারসহ চলাচলের সুবিধার্থে থাকছে মেইন ও টয়লেটের প্রশস্ত দরজা এবং নির্ধারিত আসনের সুবিধা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে রয়েছে পরিবেশ বান্ধব বায়ো-টয়লেট এবং আধুনিক ও উন্নত মানের রুফ মাউন্টেড এয়ার কন্ডিশনার ইউনিট সম্বলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
জামালপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত রেলপথে “জামালপুর এক্সপ্রেস” ট্রেনটি চালু হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে। তারাকান্দি-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-টাঙ্গাইল হয়ে নতুন রুটে ঢাকা-জামালপুরের মধ্যে আন্তঃনগর এ ট্রেনটি পরিচালনার মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর রাজধানীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কৃষি ক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন এই ট্রেনে ব্যবহৃত মিটারগেজ কোচগুলো এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আর্থায়নে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য মিটারগেজ ও ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ সংগ্রহ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইন্দোনেশিয়ার পিটি ইনকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, এছাড়াও ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা “রাজবাড়ি এক্সপ্রেস” নামে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সেবা ‘ঢালারচর এক্সপ্রেস’ নামে পাবনা জেলার ঢালারচর পর্যন্ত বর্ধিত করা হচ্ছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে চলাচলরত “উদয়ন ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেস” ট্রেনের রেক নতুন আমদানিকৃত কোচ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।