ডেস্ক নিউজ
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হক রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ শিহাবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১০ এপ্রিল) পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, রেজাউল বর্তমানে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সংগঠনটির একমাত্র সূরা সদস্যও তিনি। অনেক দিন পর জেএমবির শীর্ষ কোনো নেতা ধরা পড়লো। সর্বশেষ জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম। ২০১৮ সালের দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান তিনি।
সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমিরের পদ ছাড়াও রেজাউল সংগঠনটির দাওয়া এবং বাইতুলমাল বিভাগের প্রধান। তিনি মূলত জেএমবির শীর্ষ নেতা সালাউদ্দিন সালেহীনের নির্দেশনায় বর্তমানে সংগঠনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সালেহীন অনেক দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক। ২০০৫ সালে দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলায়ও রেজাউল জড়িত ছিলেন। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় ওই বছরই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি।
পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ দিন কারাগারে থাকার পর ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার সাংগঠনিক কাজে সম্পৃক্ত হন জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির। তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। বিমানবন্দর ও জিআরপি থানার দু’টি মামলার আসামিও তিনি। ওই দুই মামলা আদালতে বিচারাধীন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রেজাউল পুলিশকে জানান, দেশব্যাপী সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে নতুন সদস্য সংগ্রহে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি। সারা দেশে জেএমবির সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদার টাকায় পরিচালিত কথিত বাইতুলমাল তত্ত্বাবধান করেন রেজাউল। এরই মধ্যে জেএমবির সদস্য কারাবন্দি তাদের পরিবারকে প্রায় নিয়মিত অর্থ সহায়তা করে আসছেন তিনি। বিভিন্ন সময় অনলাইনের মাধ্যমে সারা দেশের জেএমবি সদস্যদের মাঝে উগ্র মৌলবাদী বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দিতেন রেজাউল।