ডেস্ক নিউজ
রাজশাহী অঞ্চলের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় আরও ১২৪টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হচ্ছে। রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় মেডিকেল কলেজ ও সদর হাসপাতালসহ ৪০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপন করা হবে ১২৪টি আইসিইউ বেড। করোনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ৬ মাসের একটি চিকিৎসা পরিকল্পনা নিয়ে একটি আবেদন পত্র স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সেখানে অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীর সঙ্গে ১২৪টি মনিটরসহ আইসিইউ বেড বরাদ্দ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় রাজশাহী বিভাগের ৪টি হাসপাতালে আইসিইউ বেড রয়েছে ৫১টি। যার মধ্যে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান (শজিমেক) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩টি, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৮টি ও টিএমএসএম হাসপাতালে ১০টি এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২০টি।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্র জানায়, ১২৪ আইসিইউ বেডের আবেদন জানানো হয়েছে এর মধ্যে ৪০ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত একটি করে স্থাপন করা হবে। বাকিগুলো জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করা হবে। শজিমেক হাসপাতালে ২০টি ও রামেক হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেড বাড়ানোর আবেদন পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহীর নয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আধুনিক সদর হাসপাতালে ১০টি, সেখানকার চার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারটি আইসিইউ বেডের আবেদন করা হয়েছে।
বিভাগের নওগাঁ সদর হাসপাতালে ১০টি, জেলার দশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০টি, পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ৫টি, নাটোর সদর হাসপাতালে ৩টি, সিরাজগঞ্জের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেশা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ১০টি, সেখানকার আট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি, বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে দুটি এবং জয়পুরহাট আধুনিক সদর হাসপাতাল ও চার উপজেলায় ১০টি মনিটরসহ আইসিইউ বেডের আবেদন জানানো হয়েছে।
পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা ও চিকিৎসা সরঞ্জামের মজুদ করার জন্য করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান। রামেক হাসপাতালে করোনা রোগীর জন্য বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাই ফ্লো নেজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটরসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃদ্ধি করতে হবে। দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং আইসিইউ এর সক্ষমতাও বাড়াতে হবে বলে মনে করছেন ডা. নওশাদ।