নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজু কুমার দে ,পেশায় একজন সংবাদকর্মী, ফ্রিল্যান্সার এবং আইটি শিক্ষানবিশ। তিনি বিডি টুডে টুয়েন্টিফোর এর নাটোর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন। এ ছাড়াও তিনি ( (ALISON UNIVERSITY-E-LEANING,UDEMY–E-LEARNING) ) তে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহন করছেন। বছর তিন আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ে আঘাত পান এবং তার পায়ের লিগামেন্টে সমস্যা দেখা দেয়। এরপর থেকেই সে নাটোরের বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে থাকেন। কিন্তু সেই চিকিৎসায় তার পায়ের সমস্যা দুর হয়নি। পরে সে ঢাকার কয়েকজন অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিতে থাকেন। এরপর থেকে সে চিকিৎসকের পরামর্শে মেডিসিন নিলেই কিছিুটা সুস্থ্য হয়। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় সঠিকভাবে সেই চিকিৎসাও করাতে সক্ষম হয়না সে। চিকিৎসকের দেওয়া মেডিসিন ব্যবহার করলেই সে কিছুটা সুস্থ হয় আর মেডিসিন না নিলেই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এভাবেই কাটছিল তার জীবন সংগ্রাম। এরই মাঝে তার পায়ের সমস্যা আবারো বৃদ্ধি পেলে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরিক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার পায়ের সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তার পায়ের অবস্থা অনেকটা খারাপের দিকে। বর্তমানে রাজু দে অস্টিওআথ্রাইটিস এর একজন রোগী। তিনি একজন প্রতিবন্ধি। এরপর নেমে আসে তার জীবনে অন্ধকারের ছায়া। রাজ দের পরিবারের অসুস্থ্য বাবা ও মা ছাড়া আর কেউ নাই। রাজুর বাবাও কিছু দিন পূর্বে ব্রেই স্টোক করে শয্যাসায়ী রয়েছেন। তার মা আগে থেকেই অসুস্থ্য। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিই রাজু। বর্তমানে তিনিও অসুস্থ্য হয়ে বিছানাতে পড়ে থাকায় কোন কাজ করতে পারছেন না। পারছেন না সঠিকভাবে তার স্টাডি চালিয়ে যেতে। এদিকে চিকিৎসকের পরামর্শ দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার। এছাড়া হয়তো রাজু দের ডান পা সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবে। কিন্তু ভারতে গিয়ে এই চিকিৎসা করাতে তার প্রয়োজন প্রায় ৫ লাখ টাকা। যে টাকা জোগার করা তার বা তার পরিবারের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না। এদিকে রাজুর পা নস্ট হয়ে গেলে শুধু রাজু নে একাই না তার সাথে সাথে নষ্ট হয়ে যাবে তার মা বাবাও। রাজু ও তার পরিবারকে বাঁচাতে জরুরীভাবে তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। রাজু কুমার দের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে আকুল আবেদন করেছেন সকলে তার চিকিৎসার জন্য আর্থিকভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে তিনি ও তার পরিবার নিয়ে কর্ম করে বেঁচে থাকবেন। সেই সাথে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী পরিবার সহ সমাজের কল্যানে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবেন।