ডেস্ক নিউজ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল থেকে সাইকেল চুরি করতে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়েছে এক ব্যক্তি। পরে তাকে নিয়ে চুরি যাওয়া সাইকেল উদ্ধার করতে গিয়ে সন্ধান মিলেছে চুরি থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত বিভিন্নভাবে কাজ করা এক সিন্ডিকেটের।
আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলের সামনে থেকে তাকে আটক করে লতিফ হলের অতিথি কক্ষে নিয়ে আসা হয়। চুরির অভিযোগে আটক ব্যক্তির নাম রাজু ওরফে এনামুল হক। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা আবাসিক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক শাহরিয়ার সজল বলেন, আটক ব্যক্তি নিজেকে নিদোর্ষ দাবি করলেও সিসিটিভির ফুটেজ দেখালে ইতোপূর্বে তিনটি সাইকেল তিনি চুরি করেছেন বলে স্বীকার করে। তার বাড়ি- চাঁপাইনবাবগঞ্জ বলে দাবি করে সে। পরে নবাব আব্দুল লতিফ হলের প্রাধ্যক্ষ একরাম হোসেনের উপস্থিতিতে মতিহার থানা পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
এদিকে আটক রাজুকে নিয়ে সাইকেল চুরি থেকে বিক্রির সিন্ডিকেট খুঁজতে শুরু করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। রাজুর দেওয়া তথ্যে স্থানীয় কাটাখালি বাজারের পুরাতন সাইকেল আড়ত মতিহার সাইকেল ভান্ডারে পাওয়া যায় দুইটি সাইকেল। সেখানে নেহাল নামের এক ব্যক্তি এই চক্রের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলে। তার সাথে রাজু নামের ব্যক্তির পরিচয় ছিলো এবং তার কাছে চুরির সাইকেল বিক্রি করতো। এসময় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু বলেন, চুরিকৃত সাইকেলগুলোর রং পরিবর্তনসহ বিভন্নভাবে পরিবর্তন করে এই সিন্ডিকেট। এই আড়ত থেকে আগেও চুরি যাওয়া সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।এবং সেখান থেকে তিনটি সাইকেল উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিটি হলের ও একাডেমি ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা নেওয়ার জন্য অনুরোধ রাবি প্রসাশন এই দিকে নজর দেওয়া জন্য। সাংবাদিকদের প্রশ্ন তিনি এ কথা বলেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল আহমেদ রুনু বলেন আমি সাইকেল চুরি গঠনা শুনেছি, এধরনের ঘটনা যেন না ঘটে এ দিকে খেওয়াল রাখার জন্য নজর বাড়ানো হচ্ছে। সকল নেতাকর্মীদের বলেছি এ ধরণের ঘটনা যে না ঘটে সে দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নবাব আব্দুল লতিফ হলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোস্তাকিমের সাইকেল চুরি যায়। এর পর থেকে সচেষ্ট ছিলো হল প্রশাসন। জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন জানান, কয়েকজন হল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী রাজুকে আটক করার পর আমাকে ফোন করেন। দ্রুত হলে চলে আসি। রাজুকে (চোর) সিসিটিভির ফুটেজ দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এর আগে হল থেকে চুরি হওয়া ৩টি সাইকেলই চুরি করেছে বলে স্বীকার করেন। রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চক্রের সন্ধান পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, সাইকেল চুরির অপরাধে রাজু নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ক্যাম্পাস থেকে চুরি যাওয়া বাকি সাইকেলগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।