করোনাভাইরাসের কারণে ব্যক্তিশ্রেণির আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় এক মাস বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থাৎ জরিমানা ছাড়া ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা। সোমবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর।
আদেশে বলা হয়েছে, এনবিআর করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার ২০২০-২১ করবছরে আয়কর রিটার্ন জমার সময়সীমা (যা ট্যাক্স-ডে নামে সংজ্ঞায়িত) ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল। এর আগে সকালে জাতীয় আয়কর দিবসের সেমিনারে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করোনার কারণে বিভিন্ন মহল থেকে রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এনবিআরের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমরা সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি জানান, দেশে ৫০ লাখ ৭২ হাজার নাগরিকের কর শনাক্তকারী নম্বর (টিআইএন) রয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাদের মধ্যে ১৫ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। এখনও কর অঞ্চলগুলোয় ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে সময় এক মাস বৃদ্ধি করলাম। এতে বাকি ই-টিআইএনধারীরা রিটার্ন দাখিলের সুযোগ নিতে পারবেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। স্বচ্ছ পরিবেশ নিশ্চিত হলে বাড়বে করদাতার সংখ্যা। করবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা কর হার কমিয়েছি। তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন অটোমেশনের মাধ্যমে রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা করছি। ভবিষ্যতে এমন অনেক কার্যক্রম থাকবে বলেও জানান তিনি। এদিকে সোমবার সকালে ভার্চুয়ালি জাতীয় আয়কর দিবসের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়কর দিবস নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। ‘স্বচ্ছ ও আধুনিক করসেবা প্রদানের মাধ্যমে করদাতাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনবিআর সদস্য (করনীতি) মো. আলমগীর হোসেন।
মূল প্রবন্ধে আলমগীর হোসেন বলেন, বিগত এক দশকে দেশে করদাতার সংখ্যা বেড়েছে ৩৫৭ শতাংশ। একই সময়ে রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা বেড়েছে ১২৫ শতাংশ। গত এক দশকে করদাতার অনুপাত বেড়েছে ৩১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, আয়কর খাতে প্রবৃদ্ধি ১৬ শতাংশের বেশি।