ডেস্ক নিউজ
রুট পারমিট ছাড়া পদ্মা সেতু দিয়ে কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না বলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণাঞ্চলের সব মালিক সমিতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ নির্দেশনা দেন।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে এক চিঠিতে দক্ষিণাঞ্চলের সব মালিক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে এই নির্দেশনা দেন তিনি।
চিঠিতে বলা হয়, গত ১১ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণবঙ্গের কোনো পরিবহনের গাড়ি রুট পারমিট ছাড়া চলাচল করতে পারবে না। রুট পারমিট আছে কি না তা স্ব-স্ব জেলা মালিক সমিতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং দূরপাল্লা রুটের গাড়িগুলো শুধু জেলা শহরে স্টপেজ করতে পারবে। এর বাইরে কোনো বাস স্টপেজ করা যাবে না। এছাড়া কেন্দ্রীয় মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের নীতিমালার বাইরে কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না।
এই সিদ্ধান্তগুলো মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্টদের কঠোরভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় এ ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, রুট পারমিট ছাড়া ও অন্য রুটের গাড়ি পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ করতে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। এছাড়া পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দোলাইপাড় গোলচত্বরে স্থাপিত অননুমোদিত বাস কাউন্টারগুলো সায়েদাবাদে স্থানান্তরের আহ্বান জানানো হয়।
routeআজ (মঙ্গলবার) ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতা ও ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা, রথযাত্রা, কোরবানির পশুর হাট ও স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন পরবর্তী এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. সাইদুল ইসলাম।
সভায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটকেন্দ্রিক সার্বিক সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার স্বার্থে করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।
এছাড়া ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্ন গমনাগমন নিশ্চিত করতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, বাসে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা, যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেস সার্টিফিকেট, রুট পারমিটসহ বৈধ কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখা, যাত্রী হয়রানি বন্ধ ও ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানোর বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়।
এ সময় পদ্মা সেতু দিয়ে বৈধ রুট পারমিট নিয়ে যানবাহন পরিচালনা, ঢাকা-মাওয়া রুটে অন্য রুটের গাড়ি না চালানো এবং বিদ্যমান ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানোর জন্য ডিসি সাইদুল ইসলাম সবাইকে অনুরোধ জানান।
এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব রথযাত্রার শোভাযাত্রা (১ জুলাই) উপলক্ষে সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ধর্মীয় নেতাদের (স্বামীবাগস্থ ইসকন মন্দির) সঙ্গে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসকন বাংলাদেশের প্রতিনিধি জ্যোতিশ্বর গৌরহরি দাস, বিমল প্রসাদ দাস ও রাম-সীতা মন্দিরের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ধর্মীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এসময় ডিসি সাইদুল ইসলাম রথযাত্রা উপলক্ষে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিষয়টি উপস্থাপন করেন।
সভায় ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের এডিসি গোবিন্দ চন্দ্র পাল, ট্রাফিক-ডেমরা জোনের এসি মো. ইমরান হোসেন মোল্লা, ট্রাফিক-ওয়ারী জোনের এসি বিপ্লব কুমার রায়, টিআই এবং সায়েদাবাদ টার্মিনাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, দক্ষিণবঙ্গ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, ঢাকা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজী সেলিম সারোয়ার, ঢাকা মহানগর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. জলিলুর রহমানসহ অন্যান্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।