ডেস্ক নিউজ
নির্মণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটের কাজের গড় অগ্রগতি ৫১.৫০ ভাগ। ১,২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিটের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৭০ ভাগ আর দ্বিতীয় ইউনিটে অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ ভাগ। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাজের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৫১.৫০ ভাগ। করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের প্রথম পারমাণবিক এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে কোনো প্রভাব পড়েনি। এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার ৭১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠদের সাথে কথা বলে এবং সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডির) প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে সংসদীয় অনুমিত হিসাব সংক্রান্ত কমিটির পাঁচ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষণ টিম সোমবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে ঈশ্বরদীর রূপপুরে এসে পৌঁছেছেন। কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদ এমপি প্রকল্পের ‘অগ্রগতি ও পর্যবেক্ষণ’ টিমের নের্তৃত্ব দিচ্ছেন। দুই দিন ব্যাপী এই কমিটি প্রকল্পের সার্বিক বিষয়াদি স্বশরীরে পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন ছাড়াও প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠদের সাথে একাধিক সভা করবেন বলে জানা গেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ মন্ত্রণালয় এবং প্রকল্পের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা গত ২১ আগষ্ট রবিবার থেকে ঈশ্বরদীর রূপপুরে অবস্থান করছেন।
রূপপুর পারমাণবিকের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, সোমবার বিকেলে এবং মঙ্গলবার সংসদীয় উপ কমিটি কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করবেন। প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির বিষয়ে তিনি বলেন, সার্বিক বিবেচনায় করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই প্রকল্পে কোনো প্রভাব পড়েনি। কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সময়মতো রাশিয়া হতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আসছে। এখন পর্যন্ত প্রথম ইউনিটে সার্বিক অগ্রগতি ৭০ ভাগ আর দ্বিতীয় ইউনিটের সার্বিক অগ্রগতি ৪৫ ভাগ বলে জানান তিনি । ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনমেন্ট নির্মাণ শুরু হয়েছে। যেসব কাজ এখনো বাকি, সেসব ঠিকঠাক মতোই করা হচ্ছে। সঠিক সময়ে বরাদ্দকৃত অর্থে রূপপুর প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা পোষণ করেছেন।
রূপপুর প্রকল্পে ৩+ প্রজন্মের দু’টি রুশ ভিভিইআর ১,২০০ + ১,২০০= ২,৪০০ মেগাওয়াটের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে মোট লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। রাশিয়া এর মধ্যে ৯০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। সরকার বাকি ব্যয় ভার বহন করছে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রথম ইউনিট থেকে ২০২৩ সালের শেষে এবং দ্বিতীয় ইউনিট হতে ২০২৫ সালে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ঠরা জানিয়েছেন।