ডেস্ক নিউজ
রেমিট্যান্স পাঠানোয় সবসময়ই শীর্ষ অবস্থানে ছিল সউদী আরব। তবে সউদী আরবকে পেছনে ফেলে এবার সে স্থান দখলে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রেমিট্যান্স নিয়ে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
বিএমইটির তথ্যানুযায়ী, যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে তা সবচেয়ে বেশি এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশটি থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ৯৮ লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা। সউদী থেকে এসেছে ৯৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার। সউদীর চেয়ে ৭ লাখ ডলার বেশি এসেছে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দেশে ৭৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়ে তৃতীয় শীর্ষস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
প্রবাসী শ্রমিক আর রেমিট্যান্সের প্রসঙ্গ আসতেই সবার সামনে আসে সউদী আরব। কারণ, বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রায় ৬০ শতাংশের গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে বরাবরই সউদী আরব থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে। তবে অবৈধপথে টাকা পাঠানোর সুযোগ থাকায় কাক্সিক্ষত রেমিট্যান্স আসছে না মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ থেকে।
এ বিষয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক ড. মো. জালার উদ্দিন শিকদার জানান, মার্কিন প্রবাসীরা তাদের পাঠানো আয়ের সবটুকুই পাঠান বৈধপথে, সেখানে মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী অদক্ষ শ্রমিকদের অনেকেই নেন হুন্ডির আশ্রয়। আর এতেই শীর্ষ স্থান হারিয়েছে সউদী আরব। হুন্ডি বন্ধ না হলে এই অঞ্চল থেকে আগামীতে রেমিট্যান্স আরও কমার আশঙ্কা করছেন তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, অবৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধে আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি; আমাদের প্রবাসী কর্মীরা যেন বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী হন সে বিষয়ে কাজ করছি। তাদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পথকে আরও সহজ করা হয়েছে; তাদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।