নিউজ ডেস্ক
এক সময়ের অবহেলিত ও ভঙ্গুর রেলওয়েকে আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার রেলওয়ের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করে। বর্তমান সরকারের সময়ে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড ট্রেন নির্মাণ প্রকল্পের মতো বড় বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। সব কয়টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রেলওয়েতে আমূল পরিবর্তন আসবে।
রেলওয়েকে জনবান্ধব ও অত্যাধুনিক পরিবহন হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার পর্যায়ক্রমে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশের আরও ১৫ জেলাকে রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। তিনি আরো জানান রেলপথকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে সরকার। বর্তমানে দেশের ৪৪ জেলায় রেল যোগাযোগ রয়েছে। রেল সেবার মান উন্নয়নে বর্তমানে অনেকগুলো প্রকল্প চলমান রয়েছে, নতুন করে আরও কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী।
শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়ার্ল্ড বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়েজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর এখন এক লাইনে রেল চলাচল করছে। আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন আরও একটি রেল সেতু বানাতে চাই। এ ছাড়া ঢাকা-টু-চট্টগ্রাম ৩০০ কিলোমিটার হাইস্পিড ট্রেন চালুর সমীক্ষা চলছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে রেলে আমূল পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন রেল লাইন নির্মাণ, পুরাতন রেল লাইন পুনর্বাসন,মিটারগেজ লাইন ডুয়েল গেজে রূপান্তর,লোকোমোটিভ,যাত্রীবাহী কোচ ও মালবাহী ওয়াগন সংগ্রহ ও পুনর্বাসন, সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন,ট্রেন সার্ভিস চালুসহ বেশকিছু সাফল্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে অধিকতর জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলেছে। টেকসই উন্নয়ন অর্জনসহ ২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের ধারাবাহিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে।