ভারত থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে উদ্বেগ জানিয়ে নয়াদিল্লির কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা।
রোববার (২২ মে) ভারত সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চিঠি দেওয়া হয় বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়।
সূত্রের ভাষ্য, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গারা। এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এবং রোহিঙ্গাদের এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের একটি অংশ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেদেশ থেকে এই রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে না গিয়ে বাংলাদেশে চলে আসছে বলে খবর মিলছে।
এ প্রসঙ্গে গত ১৭ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সম্প্রতি ভারত থেকে দুর্ভাগ্যবশত অনেক রোহিঙ্গা আসছে। এরা ২০১২ সালের দিকে ওখানে (ভারতে) গিয়েছিল। এতোদিন ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে আশ্রয় নিয়ে ছিল। এখন তারা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে শুনেছে যে বাংলাদেশে এলে খাওয়া-দাওয়া খুব ভালো পাবে। জাতিসংঘ ওদের খুব ভালো খাবার দেয়। কক্সবাজারে (শরণার্থী শিবিরে) যারা আছে, তারা খুব সুখে আছে। সেজন্য ভারতে থাকা রোহিঙ্গারাও দলে দলে আসছে।
মিয়ানমারে সেনা নিপীড়ন, ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞের মাঝে প্রাণ বাঁচাতে সাগর ও সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর নতুন করে প্রায় সাড়ে সাত লাখের মতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগে থেকে আরও প্রায় সাড়ে তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ অবস্থান করছিল। সব মিলিয়ে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাস বাংলাদেশ।
এরইমধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মিয়ানমার সরকারের কোনো আন্তরিকতা লক্ষ্য করা যায়নি।