লকডাউনের রিয়ার সান্তা ক্রুজের ফ্ল্যাটেও কিছুদিন থাকতে চেয়েছিলেন সুশান্ত সিং রাজপুত। জেরায় রিয়া চক্রবর্তীর থেকে এমনই তথ্য পেয়েছে এনসিবি। রিয়া আর সুশান্ত দুজনেই গোপনে গাঁজা আনিয়েছিলেন। যে ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা গাঁজা আনিয়েছিলেন সেই সংস্থার পক্ষ থেকেই একজন চিহ্নিত করে শৌভিক ও স্যামুয়েলকে।
এপ্রিল মাসে একটি বাক্সে ৫০০ গ্রাম গাঁজা-সহ আরও বাড়ির কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্যুরিয়ারে আসে রিয়া চক্রবর্তীর ফ্ল্যাটে। সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু যে সময় ক্যুরিয়ারটি তাঁর বাড়িতে যায় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না রিয়া।
ভাই শৌভিক চক্রবর্তীই প্যাকেটটি রিসিভ করেছিলেন। সান্তা ক্রুজের ওই ফ্ল্যাটেই বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী, মা সন্ধ্যা চক্রবর্তী আর ভাই শৌভিকের সঙ্গেই থাকতেন রিয়া। জেরায় রিয়া জানিয়েছেন, যাতে অন্য কারোর হাতে প্যাকেটটি না পড়ে কিংবা কোনও অসুবিধে না হয় সে কারণেই ক্যুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে গাঁজার প্যাকেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। এনসিবি হেফাজতে নিয়েছে ক্যুরিয়ার সংস্থার ওই কর্মীকেও। তিনিই শনাক্ত করেন দীপেশ সাওয়ান্ত এবং শৌভিক চক্রবর্তীকে। এরপর ওই ক্যুরিয়ার সংস্থার কর্মী এবং দীপেশের কললিস্টও যাচাই করে দেখা হয়।
সুশান্তের জন্য বেআইনি মাদক সংগ্রেহের জেরেই রিয়া সহ-বাকিদের দ্রেফতার করে এনসিবি। মাদক ব্যবসায়ী জায়েদ বিলাতরা এবং বাসিত পরিহারও রয়েছে এনসিবির হেফাজতে। এদের সকলেরই জামিনের আবেদন শুক্রবার নাকচ হয়ে যায়। আগামী সপ্তাহেও রিয়ার জন্য জামিনের আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। প্রয়োজনে বোম্বে হাইকোর্টেও যাওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাইকুলা কারাগারেই থাকবেন রিয়া।