ডেস্ক নিউজ
তুলসী গৌড়া কোনো প্রথাগত শিক্ষা পাননি, তবে গাছপালা ও ঔষধি গাছ সম্পর্কে অবিরাম জ্ঞানার্জন করেছেন। কয়েক দশক ধরে, হাল্কাকি উপজাতির ৭২ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বন সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে চলেছেন। খবর এনডিটিভির।
কর্নাটকের হোনাল্লি গ্রামের বাসিন্দা তুলসী গৌড়া ওই রাজ্যে একাই লাগিয়েছেন লক্ষাধিক গাছ, যার বেশিরভাগই হারবাল ওষুধ তৈরির কাজে আসছে।
তার এ জনহিতকর কাজের জন্য ভারত সরকার দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদক পদ্মশ্রী প্রদান করা হচ্ছে।
তুলসী বন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত বনায়ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং যতক্ষণ না গাছের চারাগুলো নিজেরাই দাঁড়াচ্ছে ততক্ষণ তাদের লালন-পালন করেন।
পরিবেশবাদী এ নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
এতে তিনি বলেন, সত্যিই তুলসী গৌড়া পদ্মশ্রী পুরস্কারের যোগ্য। পরিবেশবিদ তুলসী গৌড়া আসলে নাম নয়, আস্ত এক অরণ্য যেন।
২০২০ সালে ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদান করা হবে প্রচারের আড়ালে থাকা এই মানুষটিকে।
তুলসী গৌড়াকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ও ঔষধি গাছের বিষয়ে বিস্তৃত জ্ঞানের জন্য ‘অরণ্যের বিশ্বকোষ’ হিসাবে পরিচিত।