নিজস্ব প্রতিবেদক:
হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা সহ ১৫টি মামলার আসামী শুটার মানিক ওরফে সুমন (৪৫) পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছে। নিহত মানিক পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার শের শাহ রোডের পূর্বটেংরী এলাকার আনিছুর রহমান ইউনুসের ছেলে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস ও লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, গত ৫ জুলাই বড়াইগ্রামে কলেজ ছাত্র আমিন হোসেনকে গুলি করে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় শুটার মানিক ঈশ্বরদীর একটি বাড়ীতে ছদ্মবেশে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের মাধ্যেমে জানতে পারে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে শুটার মানিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সম্প্রতি লালপুরে অলোক বাগচিকে হত্যা করে মোটর সাইকেল ছিনতাই ও অটো চালককে গুলি করে অটো ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মানিক। জিজ্ঞাসাবাদ ও অস্ত্র উদ্ধার সহ তার সহযোগীতের গ্রেফতারের জন্য শুক্রবার রাতে লালপুর থানা পুলিশ বড়াইগ্রাম থেকে লালপুর থানায় নিয়ে। এরপর তাকে নিয়ে অভিযানে যায় লালপুর থানা পুলিশের একটি টিম। পথে উপজেলার গোপালপুরের টোপাকাটা মোড় নামক স্থানে পৌছলে শুটার মানিকের সহযোগীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে মানিককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে মানিক গাড়ী থেকে পালানোর চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মানিক নিহত হয়। মানিক গুলিবৃদ্ধ হয়ে নিহত হলে এক পর্যায়ে মানিকের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মানিককে উদ্ধার করে পুলিশ লালপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নজরুল ইসলাম জুয়েল আরো জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল,তিন রাউন্ড গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকরাম ইসলাম জানান, বেলা ১১ টার দিকে এই ঘটনায় নাটোরের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং করা হবে। সেখান থেকে বিস্তারিত জানানো যাবে।