নাটোরের লালপুরে অতিরিক্ত মোবাইল গেমস “ফ্রি ফায়ার” অাসক্তিতে প্রাণ গেলো ফারুক হোসেন (১৮) নামে এক এইচএসসি পরিক্ষার্থীর।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় দিকে উপজেলার বাওড়া-বৃষ্টপুর সংযোগে ঈশ্বরদী গামী মালগাড়ি ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয় তার। নিহত ফারুক উপজেলার বাওড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে এবং গোপালপুর বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেষ্ট কলেজের ছাত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে উপজেলার গোপালপুর রেলগেটের রাস্তায় ওপর মাথাবিহীন টুকরো টুকরো একটি লাশ পাওয়া যায়। পরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে এবং লাশটির থেকে ১ কিলোমিটার দূরে লাশটির মাথা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে লাশটি শনাক্ত করা হয়।
নিহতের পিতা বাচ্চু মিয়া জানান, বাড়ির পাশে রেললাইন হওয়ায় লাইনের ওপর বসে চার বন্ধু মিলে ফ্রি ফায়ার খেলছিলো। পরে রাত হওয়ায় বন্ধুরা চলে গেলেও ফারুকের বাড়ি সেখানে হওয়ায় স্থানটিতে বসে গেমস খেলছিলো। পরে রাতে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশের মাধ্যমে তার ছেলের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন।
স্থানীয়রা জানান, বাওড়া- বৃষ্টপুর সংযোগটি স্থানীয় তরুণদের “ফ্রি ফায়ার জোন”। বিকাল থেকে লাইনের ওপর সাড়ি সাড়ি করে বসে মোবাইল গেমস পাবজি, ফ্রি ফায়ারে মেতে উঠে স্থানীয় তরুণরা। এর অাগে রেললাইনে বসে অাড্ডা দিতে নিষেধ করেও কাজ হয় নি। যার জন্য অকালে ঝরে গেল একটি প্রাণ।
এ বিষয়ে লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা ট্রেনে কাটা পড়ে একব্যাক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু ট্রেনে কাটা তাই এবিষয়ে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ৬মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের অাসক্তি বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। মোবাইল ফোনের এমন অাসক্তি বা এসব নিত্য নতুন মোবাইল গেমসগুলো নতুন প্রজন্মের জন্য হুমকি মনে করেন সচেতন মহল।