নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের লালপুরে বিয়ের প্রলোভনে শালিকাকে অপহরণ ও ধর্ষণের দায়ে দুলাভাই জাহেদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত জাহেদুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডপ্রাপ্ত জাহেদুল ইসলাম লালপুর উপজেলার আব্দুলপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মজিদ প্রামানিকের ছেলে ও ভিকটিমের আপন বড় বোনের স্বামী।
আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মামলার এজাহার সুত্রে জানান, ২০২১ সালের ১৫ মার্চ বাড়ীতে কেউ না থাকার সুযোগে ভিকটিম কিশোরী শালিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার দুলাভাই জাহেদুল ইসলাম। পরে পরিবারের সদস্যরা বাড়ীতে এসে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজির পর জানতে পারেন দুলাভাই জাহেদুল ইসলাম ও তার শালিকা কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় এক আত্মীয়র বাড়িতে অবস্থান করছে। সেখানে শালিকাকে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষন করে জাহেদুল ইসলাম। ঘটনার পরের দিন ভিকটিমের বাবা কুষ্টিয়া মিরপুর গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে লালপুর থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাহেদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে লালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের বাবা জমসেদ আলী। পরে পুলিশ জাহেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে আদালতের বিচারক মামলাটি স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহন শেষে জাহেদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। রায়ে জরিমানার অর্থ ভিকটিম পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়।